মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন আগেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর নামে এবার তদন্তের দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই মর্মে লোকপালকে চিঠিও দিয়েছেন দুবে। তা৬র দাবি, কবে এবং কোথায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ ঘুষ নিয়েছিলেন তার যাবতীয় তথ্য রয়েছে তাঁর কাছে। ঘুষের অঙ্ক ঠিক কত সে বিষয়ও বিশদ বিবরণ দিতে রাজি তিনি। উল্লেখ্য এর আগেও টাকার বিনিময় লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন আগেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ।
দুবের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। সেখানে তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে একাধিক অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মহুয়ার বিরুদ্ধে তাঁর কাছে বিস্তারিত তথ্য আছে বলেও দাবি করেছেন দুবে। এই মর্মে লোকপালকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন,'চিঠিতে শ্রী দেহদ্রাই একটি বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। সাংসদ মৈত্র ঠিক কী ভাবে, কখন, কোথায় দর্শন হীরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন তা সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। ওই চিঠিতে স্পষ্ট জানানো আছে কীভাবে হীরানন্দানির থেকে নগদ।' তিনি দাবি করেছেন ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া।
যদিও এবিষয় মহুয়ার তরফ থেকে কোনও ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শুধু শনিবার একটি টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন,'এনআইসি সব তথ্য প্রকাশ করে দেখাক যে, যখন ব্যক্তিগত সচিব, গবেষক, ইন্টার্ন বা কর্মীরা সাংসদদের আইডি ব্যবহার করেন, তখন সেখানেই উপস্থিত থাকেন তাঁরা। তাই বলে ভুয়ো ডিগ্রিধারীদের ব্যবহার করবেন না। আসল সত্য সামনে আনুন।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে হীরানন্দানির বক্তব্য, ২০১৭ সালে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠান থেকেই তিনি মহুয়া মৈত্রকে চিনতেন বলেও জানিয়েছেন, দর্শন হিরানন্দানি। মহুয়া নৈত্র সেই সময় সাংসদ ছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনে আসা ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানান। ভারতে বিশেষ করে কলকাতা, দিল্লি বা মুম্বাই বা বিদেশে অনেক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। দুবাইতেও তাঁদের দেখা হয়েছিল।