'আমাকে চুপ করার চেষ্টায়, জনসাধারণ তাদের চুপ করে দিয়েছে, যার ফলে তারা ৬৩ জন সাংসদকে হারাতে হয়েছে।'- কথা বলেও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন।
সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনার বিজেপিকে চড়াসুরে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি গত লোকসভায় তাঁকে বহিষ্কার করা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। বলেন, 'বিজেপি ভেবেছিল আমার কণ্ঠরোধ করবে। কিন্তু জনগণ তাদের কণ্ঠরোধ করেছে। যার কারণে বিজেপিরে অত্যাধিক মূল্য চোকাতে হচ্ছে।' মহুয়া মৈত্র বলেন, 'গতবার আমি দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দল একজন সংসদ সদস্যের কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য খুব ভারী মূল্য দিয়েছে।'
'আমাকে চুপ করার চেষ্টায়, জনসাধারণ তাদের চুপ করে দিয়েছে, যার ফলে তারা ৬৩ জন সাংসদকে হারাতে হয়েছে।'- কথা বলেও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, 'বিজেপির 'রাজ তন্ত্র' এই দেশের 'লোক তন্ত্র' দ্বারা হ্রাস পেয়েছে। এটি একটি স্থিতিশীল সরকার নয়। এটি একাধিক জোটের উপর নির্ভর করে যাদের ইউ-টার্নের ইতিহাস রয়েছে। আমরা এবার ২৩৪ জন যোদ্ধা, হেঁটেছি। আপনি আমাদের সাথে গতবারের মতো আচরণ করতে পারবেন না।' তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে ছয়টি থিম রয়েছে। উত্তর-পূর্বের বাজেট চার গুণ বেড়েছে, তবুও বক্তৃতায় 'মণিপুর' শব্দটি কোথাও নেই।
মহুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী 'মুসলিম', 'মাদ্রাসা', 'মাটন', 'মাছলি' এবং 'মুজরা' এই শব্দগুলি বারবার উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু একবারও মণিপুর শব্দটি উচ্চারণ করেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারকি পূর্বের দিকে তাকানোর দরকার নেই?' নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, বিরোধী দলগুলির সেই প্রয়োজন রয়েছে। মহুয়া মৈত্র সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বলেছেন, 'এটি সম্পূর্ণ অসত্য। আপনি সংসদে সরক্ষণ বিলম্বিত করেছেন। কারণ আপনি নারী শক্তিকে ভয় পান।' এবার সংসদের মাত্র ৭৪জন মহিলা সাংসদ রয়েছে। যেখানে বিজোপির ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র ৩০ জন মহিলা। তৃণমূলের ৩৮ শতাংশই মহিলা সাংসদ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিজেপি পুরুষদের কোটিপতি করার প্রয়াস চালাচ্ছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে।