সোমবার রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, 'সংসদের দুই কক্ষেই মাইক্রোফোন অফ করার ক্ষমতা স্পিকারের হাতে থাাকে না।
লোকসভায় বিতর্কে অংশগ্রহণের সময় আচমকাই রাহুল গান্ধীর মাইক্রোফন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে দুই বার এই ঘটনা ঘটস। ১৮ তম লোকসভায় ডক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা ও ন্যাশানাল এলিজিবেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের চূড়ান্ত সমালোচনা করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ সেই সময় রাহুল গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী নিজেও লোকসভায় দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি সরাসরি নিশানা করেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। সোমবার ওম বিড়লা সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন।
স্পিকার ওম বিড়লার বক্তব্য
সোমবার রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, 'সংসদের দুই কক্ষেই মাইক্রোফোন অফ করার ক্ষমতা স্পিকারের হাতে থাাকে না। চেয়ার শুধুমাত্র নির্দেশ দিতে পারে। যে সদস্যের নাম ডাকা হচ্ছে তিনি কথা বলতে পারেন সংসদে। চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা হয় মাইক। কিন্তু চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তি মাইক্রোফোন বা রিমোট কন্ট্রোল বা সুইট দিয়ে মাইক্রোফোন বন্ধ করতে পারেন না। '
এখানেই শেষ নয়, স্পিকার ওম বিড়লা আরও বলেন, 'চেয়ারপার্সেন পদে সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধি রয়েছে। আমি সংসদকক্ষের দায়িত্ব থাকি। তাই আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ অমূলক। বিষয়টি চেয়ারের মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত।' মাইক্রোফোন বন্ধ করার জন্য কোনও বোতাম তাঁর কাছে নেই বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েদেন তিনি। বলেন, 'আগে একই রকম সেটআপ ছিল না। মাইক্রোফোন বন্ধ করার মত অপশান আমার কাছে নেই।'
সংসদে মাইকের নিয়ন্ত্রণ থাকে -
২০১৪ সালের লোকসভার সচিবালয় যে ম্যানুয়াল প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সাংসদকে একটি নির্দিষ্ট ডেস্ক ও পৃথক মাইক্রোফোন ও একটি সুইত সেট দেওয়া হবে। সুইচবোর্ডে বিভিন্ন রঙের সুইত থাকে। কথা বলার অনুরোধের জন্য ধূসর বোতামে চাপ দিতে হবে। পাশাপাশি স্পিকারকে হাত তুলে ইঙ্গিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সাংসদ যদি কথা বলার অনুমতি পান তখন তাঁর মাইক কন্ট্রোল রুম থেকে চালু করে দেওয়া হয়। দুইভাবে মাইক চালু হয়। LED রিংটি লাল বর্ণের হয়ে যায় ও মাইক্রোফোনের উপরে LED-র রংও লাল হয়।