মমতা বলেন, পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে।' মমতা আরও বলেন, 'অন্যদের ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি।'
নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নৈতৃত্বেই হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে মমতা অভিযোগ করেন, তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অপমান করা হয়েছে। কথা বলার সুযোগ না পেয়েই তিনি বৈঠক ত্যাগ করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বাজেট রাজনৈতিক ও পক্ষপাতমূলক।
মমতা বলেন, 'আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে।' মমতা আরও বলেন, 'অন্যদের ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। তা আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বঞ্চনার প্রতিবাদেই আমি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি। 'যদিও যাওয়ার আগেই মমতা এই আশঙ্কাই করেছিলেন। তিনি বলেন, যদি মাইক বন্ধ করে না দেয় তাহলে বলব। আর যদি বলতে না দেয় তাহলে বেরিয়ে আসব। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের সাত জন মুখ্যমন্ত্রী বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছেন। কিন্তু তারপরেও শনিবার মমতা বৈঠকে যোগ দেন। ,সেই কথা তুলে মমতা বলেন বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বৈঠকে ছিলেন। তাও তাঁকে কিছু বলতে দেওয়া হল না।
যদিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নীতি আয়োগ-এর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের কোনও গুরুত্ব নেই। পাশাপাশি যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। মমতা নীতি আয়োগের তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, 'নীতি আয়োগকে সরান, যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনুন। র একটি কাঠামো ছিল। এটি দেশে পরিকাঠামো তৈরি করেছেন। যোজনা কমিশন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মস্কিষ্ক প্রসূত ছিল।'
মমতা আরও বলেন, নীতি আয়োগ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে না। নীতি আয়োগের কোনও ক্ষমতাই নেই বলেও দাবি করেন মমতা। তবে মমতা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নীতি আয়োগের বৈঠক বাতিল করা প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন। বলেছেন, পক্ষপাতিত্ব ও সহযোগিতার অভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'আমি শুধু বাংলার জন্য নয়, সমস্ত ইন্ডিয়া ব্লক-শাসিক রাজ্যগুলির সমস্যার কথা বলব।' তিনি আরও বলেন কেন্দ্র সরকার ইন্ডিয়া জোট শাসিত রাজ্যগুলির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে। তারই বিরোধিতা করবেন তিনি। তবে পাশাপাশি মমতা এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নীতি আয়োগের সভায় আসার কোনও প্রয়োজন হয় না।