মমতা আরও বলেন, নীতি আয়োগ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে না।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বৈঠক বয়কট করেছে বাম ও কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে মমতা জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট অটুট রয়েছে। সমন্বয়ের অভাবের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মমতা আরও বলেন, আগে সবকিছু জানলে তিনি অন্য সিদ্ধান্ত নিতেন।
যদিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নীতি আয়োগ-এর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের কোনও গুরুত্ব নেই। পাশাপাশি যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। মমতা নীতি আয়োগের তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, 'নীতি আয়োগকে সরান, যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনুন। র একটি কাঠামো ছিল। এটি দেশে পরিকাঠামো তৈরি করেছেন। যোজনা কমিশন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মস্কিষ্ক প্রসূত ছিল।'
মমতা আরও বলেন, নীতি আয়োগ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারে না। নীতি আয়োগের কোনও ক্ষমতাই নেই বলেও দাবি করেন মমতা। তবে মমতা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নীতি আয়োগের বৈঠক বাতিল করা প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন। বলেছেন, পক্ষপাতিত্ব ও সহযোগিতার অভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'আমি শুধু বাংলার জন্য নয়, সমস্ত ইন্ডিয়া ব্লক-শাসিক রাজ্যগুলির সমস্যার কথা বলব।' তিনি আরও বলেন কেন্দ্র সরকার ইন্ডিয়া জোট শাসিত রাজ্যগুলির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে। তারই বিরোধিতা করবেন তিনি। তবে পাশাপাশি মমতা এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নীতি আয়োগের সভায় আসার কোনও প্রয়োজন হয় না।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে অভিযোগ করেন কেন্দ্র সরকার দেশকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। তিনি তা হতে দেবেন না। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় তারা 'টুকরে টুকরে'কথা বলত। এখন তারাই দেশকে ভাগ করতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, শাসক দল বিহার, বাংলা আর ঝড়খণ্ডের মত রাজ্যগুলির মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে।