ইদের আগের দিন প্রকাশ্যে ফের গোরকক্ষদের তাণ্ডব। এবারের ঘটনাস্থল রাজধানী দিল্লির কাছেই গুরুগ্রাম। গরুর মাংস পাচার করার অভিযোগে পুলিশের সামনেই নৃশংসভাবে এক যুবককে মারধর করল জনতা। হাতুড়ির বাড়িতে রক্তাক্ত করা হল তাঁকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ গুরুগ্রামের আইটি হাবের কাছে প্রায় ৮ কিলোমিটার তাড়া করে একটি পিক আপ ভ্যানকে আটক করে গোরক্ষক বাহিনীর কিছু যুবক। তারপরে ওই গাড়ির চালক লুকমানকে বাইরে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই যুবকদের অভিযোগ, ভ্যানে করে গো-মাংস পাচার করছিলেন লুকমান। লুরমানকে বেধড়ক মারধরের পরে সেই পিক আপ ভ্যানে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুগ্রামের বাদশাহপুর গ্রামে। সেখানে গিয়ে ফের মারধর শুরু করা হয় তাকে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনা শুরু হতেই সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় তারা। ওই যুবক বারবার সাহায্যের জন্য ডাকলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। তবে দ্বিতীয়বার মারধর শুরু হতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। তারা উত্তেজিত জনতাকে থামিয়ে লুকমানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আক্রান্ত লুকমান খান৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকমানের মাথার খুলি ফেটেছে৷ শরীরে একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত৷ অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক৷
আরও পড়ুন: প্যান্টের ভেতর ঢুকে গেল বিষধর গোখরো, প্রাণ বাঁচাতে কী করলেন যুবক, দেখুন সেই ভিডিও
জানা গিয়েছে, লুকমান গুরুগ্রামের সদর বাজারে মোষের মাংস সাপ্লাই দিতে গিয়েছিলেন৷ ওই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট তাহির জানিয়েছেন, লুকমান শুক্রবার সকালে আসছিলেন মোষের মাংস সাপ্লাই দিতে৷ পথে কিছু লোক ওঁকে ঘিরে ধরে৷ তারপর রাস্তায় ফেলে মারতে শুরু করে৷ খুব নৃশংস ভাবে ওরা মেরেছে৷ গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সুভাষ বোকান জানিয়েছেন, মাংস-সহ ওই পিক-আপ ভ্যানটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত চলছে৷ এদিকে শুক্রবার সকালের এই ঘটনা ফের হরিয়ানার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।