গুজরাটের মেহসানায় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর পরদিন আয়োজিত শ্রাদ্ধবাসরে সেই ব্যক্তি উপস্থিত হন। শোক প্রকাশ করতে আসা লোকজন তাকে দেখে হতবাক হয়ে যান এবং সেখানে হইচই পড়ে যায়। লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সবাই শান্ত হন। এই খবর এলাকায় ব্যাপক চর্চিত হচ্ছে।
৪৩ বছর বয়সী ব্রিজেশ সুথার গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখে নরোদার বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাননি। অনেকদিন অপেক্ষা করার পর পরিবারের সদস্যরা তার নিখোঁজের অভিযোগ পুলিশে দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করে। ব্রিজেশ সুথার নিখোঁজ হওয়ার অনেক দিন পর ১০ নভেম্বর সাবরমতী সেতুর কাছে পুলিশ একটি মৃতদেহ পায়। মৃতদেহটি বেশ খারাপ অবস্থায় ছিল। পচে গলে যাচ্ছিল। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের শনাক্তকরণের জন্য ডাকে। মৃতদেহের গড়ন অনেকটা ব্রিজেশ সুথারের মতো ছিল। পরিজন এবং আত্মীয়স্বজন মৃতদেহটিকে ব্রিজেশ সুথার বলে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
এরপর পরিবারের সদস্যরা সম্পূর্ণ রীতিনীতি মেনে ব্রিজেশ সুথারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পরিবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরদিন তাদের মৃত ছেলের স্মরণে শ্রাদ্ধবাসরের আয়োজন করে।
শুক্রবার ব্রিজেশ সুথারের স্মরণে শ্রাদ্ধবাসরের আয়োজন করা হয়। অনেক লোক জড়ো হন। কিন্তু শ্রাদ্ধবাসরের মাঝখানে ব্রিজেশ সুথারকে দেখে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। ব্রিজেশকে দেখেই শ্রাদ্ধবাসরে হইচই পড়ে যায়। লোকজন ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায় যে ব্যক্তিটি ব্রিজেশ সুথার। ব্রিজেশকে জীবিত দেখে পরিবারের সদস্যরা খুশি হন।
ব্রিজেশের মা বলেন, আমরা তাকে সর্বত্র খুঁজেছি। তার ফোন বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ আমাদের একটি মৃতদেহ দেখায়, সেটি ফুলে উঠেছিল, আমরা ভুল করে তাকে শনাক্ত করে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করেছি। অন্য এক আত্মীয় বলেন, সে বিষণ্ণতায় ভুগছিল।
ব্রিজেশ সুথারের জীবিত ফিরে আসার পর পুলিশের সমস্যা বেড়ে গেছে। বড় প্রশ্ন হল, কার মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তিটি কে ছিল?