নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি না পেয়েই বিমানবন্দরে বিস্ফোরক, আত্মসমর্পণ করে চাঞ্চল্যকর দাবি ইঞ্জিনিয়ারের

  • মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে উদ্ধার বিস্ফোরক
  • ঘটনার দায় নিল এক যুবক
  • পুলিশের কাছে গিয়ে বুধবার আত্মসমর্পণ
  • এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে

Asianet News Bangla | Published : Jan 22, 2020 8:38 AM IST / Updated: Jan 22 2020, 02:10 PM IST

মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল এক যুবক। বুধবার সকালে নুরুপাতুঙ্গা রোডে পুলিশ সুপারের দফতের গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। মণিপালের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম আদিত্য রাও বলে জানা গেছে। তাকে হালসুর গেট পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

আরও পড়ুন: পুরনো প্রেমের টানে হবু বেয়াইন কে নিয়ে পালালেন বরের বাবা, ভেস্তে গেল ছেলে-মেয়ের বিয়ে

গত সোমবার মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সমবার সকালে বিমানবন্দরে একটি মালিকানাহীন ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। বিমানবন্দরের টিকিউ কাউন্টারের পাশেই ব্যাগটি রাখা ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। বিমানবন্দরের পাশের একটি খোলা মাঠে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ করা হয়। সেই ঘটনার দায় নিয়েই এদিন আত্মসমর্পণ করে আদিত্য। 

 

 

জানা গেছে ৩৬ বছরের আদিত্যকে এর আগে ২০১৮ সালে  বিমানবন্দরে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় ছয় মাস জেলেও কাটায় সে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছিল আদিত্য। জিজ্ঞাসাবাদের প্রাথমিক পর্বে জানা যাচ্ছে, প্রতিষোধ নিতেই সে মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বিস্ফোরক রেখে এসেছিল।

বেঙ্গালুরু বিমাবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজের জন্য আবেদন করেছিল আদিত্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় নথি জাম দিতে না পারায় শেষপর্যন্ত চাকরিটা হয়নি। এরপরেই ২০১৮ সালের ৩০ অগস্ট বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ফোন করে পার্কিং লটে বোমা রাখা আছে বলে জানিয়েছিল আদিত্য। ঘটনায় তদন্তে নেমে পরে আদিত্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হ্যাক হয়েছে পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তির ফোন, নাম জড়াল সৌদি যুবরাজের

অতীতে একাধিকবার সে এমন ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আদিত্য। বেঙ্গালুরুতে এক রেল আধিকারিক তার লাগেজের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়া এমনি বোমাতঙ্কের গুজব ছড়িয়েছিল সে। ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে তিন মাস জেলও খেটেছে এই যুবক। 

জানা গেছে ২০১২ সালে চাকরির খোঁজে বেঙ্গালুরু এসেছিল আদিত্য। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকিরও পায় সে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মেঙ্গালুরু ফিরে যায় সে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজে যোগ দেয়। একটি মঠে রাঁধুনির চাকরিও করে কয়েকমাস। 

Share this article
click me!