পদ্মাসনে ভঙ্গিতে বসে থাকাটাই বেশ কঠিন
তার উপর সেই অবস্থায় পা বাঁধা
এই ভাবেই সমুদ্রে সাঁতার কাটলেন ১ কিলোমিটার
ভিডিওটি দেখলে অবাক হতে হয়
লোকে কত রকম ভাবেই না বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে। তার মধ্যে কিছু কিছু বিষয় থাকে, যেগুলি সত্যি সত্যি দক্ষতার চূড়ান্ত পরিচয়। তেমনই দেখা গেল শনিবার কর্ণাটকের কুন্ডাপুরায়। এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক পদ্মাসন ভঙ্গিতে বসে, শিকল দিয়ে পা বেঁধে সাঁতার কাটলেন ১ কিলোমিটার। তাও আবার আরব সাগরের বুকে। কিন্তু, রেকর্ড কি গড়তে পারলেন তিনি?
কুন্ডাপুরা জেলার বানতাওয়াল তালুকের কলমঞ্জা সরকারী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন নাগরাজ খারভি। তবে তিনি বড় হয়েছেন মৎসজীবী পরিবারে। তাই একেবারে ৩ বছর বয়স থেকেই তিনি সমুদ্রে সাঁতার কাটা রপ্ত করে নিয়েছিলেন। এদিন উত্তাল আরব সাগরে পা বাঁধা অবস্থায়, এক কিলোমিটার দূরত্ব তিনি ২৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে (২৫:১৬:৬৩) শেষ করেন। পদ্মাসনে ভঙ্গিতে পা বাঁধা অবস্থায় সাঁতার কাটার জন্য তিনি ব্রেস্টস্ট্রোক স্টাইল ব্যবহার করেন।
তিনি, তাঁর এই কীর্তির সব কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর কোচ বি কে নায়েককে। তিনি জানিয়ছেন, চাকরিতে ঢোকার পরও তাঁর সাঁতারের নেশা যায়নি। শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত তালুক ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন তিনি। সেখানেই বি কে নায়েকের নজরে পড়েছিলেন তিনি। তিনিই এই রেকর্ড গড়ার জন্য নাগরাজ খারভি-কে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কোচই তাঁর সাঁতারের দক্ষতাকে ঘষে মেজে আরও ঝকঝকে করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষক।
কিন্তু, প্রশ্ন হল, শেষ পর্যন্ত রেকর্ড হল কি? খারভি জানিয়েছেন, দুজন গেজেটেড অফিসার কে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে এই কীর্তির ভিডিওর ডিভিডি তিনি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ পাঠাবেন। একই সঙ্গে এর একটি প্রতিলিপি পাঠাবেন লিমকা বুক অফ রেকর্ডস-এ। তারাই বিচার করবে তিনি রেকর্ড করতে পেরেছেন কিনা। মেঙ্গালুরুর এই শিক্ষক সাঁতারু জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই এই রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টাটি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে সেই সময় তা করতে পারেননি।