আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মণিপুরে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রাইফেলসের কর্মীরা মণিপুরের সহিংসতা কবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
জ্বলছে মণিপুর। তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার দেখা মাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ দিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ জারি করেন মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতরের কমিশনার টি রণজিৎ সিং। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের বেশ কিছু কোম্পানিও মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে করে RAF কর্মীদের মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মণিপুরে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রাইফেলসের কর্মীরা মণিপুরের সহিংসতা কবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৭৫০০ নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন,'আমি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও নির্বাচন অপেক্ষা করতে পারে কিন্তু আমাদের সুন্দর রাজ্য মণিপুরকে আগে রক্ষা করতে হবে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রথমে মণিপুরের যত্ন নিতে, সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করছি। আমি আমাদের মণিপুরের ভাই-বোনদেরও শান্ত থাকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। আজ যদি আমরা মনুষ্যত্বকে পুড়িয়ে ফেলি তাহলে কাল আমরা মানুষ হব।'
বুধবার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ব্যানারে মণিপুরের ১০টি জেলায় মিছিল করেছে, যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মেইতি সম্প্রদায়কে উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার বিরোধিতা করছে। ১৯ এপ্রিল, মণিপুর হাইকোর্ট তার একটি সিদ্ধান্তে বলেছিল যে সরকারের মেইতি সম্প্রদায়কে উপজাতি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত এবং হাইকোর্ট এর জন্য রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। রায়ের প্রতিবাদে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও চন্দ্রচুড়পুর জেলায় সহিংসতা হয়েছে। হিংসার ঘটনার বিস্তার রোধ করতে, সরকার পাঁচ দিনের জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে। চন্দ্রচুড়পুর জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
মণিপুর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বললেন অমিত শাহ
জ্বলছে মণিপুর, হাইকোর্টের রায়ে বাড়ল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, হিংসার আশঙ্কায় সেনাবাহিনীর ফ্ল্যাগমার্চ
জম্মু কাশ্মীরে বিরাট বিপর্যয়! বৃহস্পতিবার সকালে ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কপ্টার