মণিপুরের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। বিচার হবে রাজ্যের বাইরে। নির্দেশ অমিত শাহের দফতরের।
মণিপুরে দুই মহিলাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর এই ঘটনার বিচার হবে রাজ্যের বাইরে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মণিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে জোর করে হাঁটানো হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
জাতিগত হিংসার কারণে মণিপুরে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। সম্প্রতি চালু হয়েছে ইন্টারনেট। তারপরই সামনে আসছে হিংসার দিনগুলির ভয়ঙ্কর ঘটনা। যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেশ। মণিপুরের উপজাতীয় নেতাদের ফোরাম এই বিষয় নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ মে। রাজধানী ইম্ফল থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায়। এই ঘটনায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল কাংপোকপি জেলায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় এক জননেতার সামনে তিন মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছে। এই ঘটনা পাঁচা জনের একটি দলকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যারা মণিপুর হিংসার ঘটনাতেও জড়িত। মহিলাদের বিরুদ্ধে একজনকে অপরহণের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে এক জনের বয়স ১৯। তার ভাই মহিলাকে উদ্ধার করতে এলে তাকেও খুন করে ধর্ষকরা।
গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পুলিসকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছে, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও মন্ত্রকের মুখ্য সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, 'এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।' ভিডিওটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে স্বতোঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনার পর মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেণ সিং কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেও বিরোধীদের অভিযোগ।
পুলিশ দানিয়েছেন ৪ মে কাংপোকপি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। ২১ জুন থৌবাল জেলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে তিন জন মহিলাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে তাদের কাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়েছে। জনার সামনে দিয়ে উলঙ্গ অবস্থা হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল। যদিও এদিন এক নির্যাতিতা জানিয়েছেন, পুলিশই তাদের উদ্ধার করে তুলে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতার হাতে। তাদের যখন বিবস্ত্র করে হাঁটান হচ্ছিল সেই ঘটনার সাক্ষী ছিল পুলিশ । গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল থানা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার আগে।