ট্র্যাক্টর মিছিলে ৪ কৃষক নেতাকে খুনের ছক, দিল্লির সিংঘু সীমান্তে ধরা পড়ল মুখোশধারী

২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলের পরিকল্পনা করেছে কৃষকরা

সেই কর্মসূচি বানচাল করতে বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে

হত্যার পরিকল্পনা রয়েছে ৪ কৃষক নেতাকে

দিল্লির সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের হাতে ধরা পড়ল এক মুখোশধারী

amartya lahiri | Published : Jan 23, 2021 2:49 AM IST / Updated: Jan 23 2021, 10:02 AM IST

২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন নয়াদিল্লির রাজপথে যখন সেনার কুচকাওয়াজ চলবে, তখনই রাজধানীতে দেখা যাবে দিল্লি সীমান্তে গত প্রায় ২ মাস ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল। আর সেই কর্মসূচি বানচাল করতে বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, শুক্রবার রাতে এক মুখোশধারী ব্যক্তিকে সংবাদমাধ্য়মের সামনে হাজির করে, কৃষক নেতা কুলবন্ত সিং সন্ধু দাবি করেছেন, ট্র্যাক্টর মিছিল চলাকালীন চার কৃষক নেতার উপর গুলি চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকী এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য ফাঁস করলে তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে বলে, ওই মুখোশধারী ব্যক্তি ও সতীর্থদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

মুখোশধারী ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর মিছিল চলাকালীন কৃষকদের বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য মোট ১০ জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুজন মহিলাও রয়েছে। তবে তার মতে এরকম আরও বেশ কয়েকটি দল তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশের বেশে লাঠি চালিয়ে মিছিল থামানোর চেষ্টা করা হবে। তাতে কাজ না হলে, প্রথমে বাতাসে গুলি চালানো হবে। সেইসময় কৃষকদের ভিড়ে মিশে থাকা অন্যান্যরা কৃষকদের পিছন থেকে গুলি চালাবে। যাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মনে হয় কৃষকরাই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।

ওই মুখোশধারীর আরও দাবি, দিল্লিতে দুটি জায়গা থেকে তাদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত কোন ৪ কৃষক নেতাদের গুলি করতে হবে, তাঁদের ছবিও দেওয়া হয়েছে। ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর মিছিলে তাদের অর্ধেক লোক উপস্থিত থাকবে পুলিশ ইউনিফর্মে, আর বাকিরা বুট, পাগড়ি এবং জিন্স পরে থাকবে। তার দাবি, সে ধরা পড়ে গেলেও, আরও বহু লোক রয়েছে, যাদের ধরতে পারেননি কৃষকরা। তাই ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর মিছিলে ব্যাঘাত ঘটার এখনও ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা খুনি নয় বলেই দাবি করেছে সে। শুধুমাত্র অর্থের জন্যই তারা এই কাজ করতে রাজি হয়েছিল। প্রত্যেককে এর জন্য ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। যারা তাদের নিয়োগ করেছে  তারা পুলিশ বলেই জনিয়েছে সে।

আরও পড়ুন - কানে জড়িয়ে দেওয়া হল জ্বলন্ত টায়ার, পুড়ে মৃত্যু হাতির, ক্যামেরায় ধরা পড়ল চরম অমানবিকতা, দেখুন

আরও পড়ুন - মৃত ব্যক্তির বীর্য নিয়ে শ্বশুর-বউমার টানাটানি, অদ্ভূত মামলায় কী রায় দিল আদালত

আরও পড়ুন - এবার কি 'ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল'এরও নাম বদল, কী সুপারিশ করল মোদীর নেতাজি কমিটি

কৃষকদের আন্দোলনকে সে 'জাট আন্দোলন' বলে অভিহিত করেছে। সে জানিয়েছে, এই আন্দোলনে এই প্রথম নয়, তাদের আগেও ব্যবহার করা হয়েছে। গত দুদিন ধরেই দিল্লির সিংঘু সীমান্তে তারা সক্রিয় ছিল। শুধু তাই নয়, দিন কয়েক আগে কার্ণালে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সমাবেশে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, সেখানও তারা জড়িত ছিল। ওই সমাবেশে তাদের কাজ ছিল লাঠিচার্জ করা। এর জন্য আগে দিল্লি ও হরিয়ানার বিভিন্ন হোটেল ও ধাবায় তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

ওই মুখোশধারী ব্যক্তিকে পরে কৃষকরা স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেন। মুখোশধারীর অনুরোধ, এই বিষয়ে তাদের পরিবারকে যেন না জানানো হ। তারা এর মধ্যে জড়িত নয়।

Share this article
click me!