সংক্ষিপ্ত
নাম বদলাতে পারে 'ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল'-এর
নতুন নাম হতে পারে নেতাজি বা আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে
নামবদল বিজেপি সরকারের কাছে নতুন কিছু নয়
আগেই কলকাতা বন্দরের নাম বদলে হয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে
নাম পরিবর্তনের যুগে এবার বদলে যেতে পারে কলকাতার আইকনিক স্মৃতিসৌধ 'ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল'-এর নামও। একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটিই এই নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এর নতুন নামকরণ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বা আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে হবে বলেই শোনা যাচ্ছে।
বর্ষব্যাপী নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মাথায় রেখে একটি ৮৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। সেখানে বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু-র মতো নেতাজির আত্মীয়দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং এইচডি দেবগৌড়াও। শনিবার, ২৩ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এই নেতাজি যাদুঘর-এর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। সেখানেই এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন - নিরাপদেই রয়েছে Covishield, আগুনে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত সিরাম ইনস্টিটিউট
আরও পড়ুন - আজ প্রথমবার রাফালের ককপিটে CDS রাওয়াত, ফরাসীদের সঙ্গে মরুভূমির আকাশে ওয়ারগেম
আরো পড়ুন - নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি, ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর আগে বিতর্ক তৈরি করলেন বিজেপি সাংসদ
প্রসঙ্গত, নাম পরিবর্তন বিজেপি সরকারে কাছে নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ বসুকে স্মরণ করতেই হওড়া-কালকা মেল-এর নাম পরিবর্তন করে নেতাজি এক্সপ্রেস করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তো যোগী আদিত্যনাথ সরকার শহর থেকে রেল স্টেশন - অনেক কিছুরই নাম বদলে দিয়েছে। কলকাতা বন্দরের নামও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর করে দিয়েছেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এর নাম বদলের প্রস্তাব অবশ্য আগেই উঠেছিল। বিজেপিরই সুব্রামনিয়ম স্বামী এই স্মৃতিসৌধটির নাম বদলে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী বাই-এর নামে নামকরণ করার দাবি তুলেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উত্তরাধিকারও অবশ্য রাজনৈতিক লড়াই-এর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত সরকার প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনটিকে 'পরক্রম দিবস' হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ঠিক পরপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার নেতাজির জন্মদিন প্রতি বছর 'দেশনায়ক দিবস' হিসাবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কয়েক দশক আগে নেতাজির অন্তর্ধান সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গঠিত প্যানেলের লেখা একটি গ্রন্থ জনসমক্ষে প্রকাশেরা দাবিও তোলা হয়েছে। এর আগেই অবশ্য মোদী সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত ৩৩টি ফাইল প্রকাশ করেছিল এবং ১০০টি ফাইলের ডিজিটাল প্রতিলিপি প্রকাশ করেছিল।