তিব্বত নিয়ে ভারত-চিনের সমস্যা নতুন নয়। দশকের পর দশক ধরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তিব্বতের ভূখণ্ড নিয়ে বিবাদ চলছে। সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সামনে এল এক নতুন সমীক্ষা। যেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক উল্লেখজনক ফল। যেই সমীক্ষায় ৮০ শতাংশ ভারতীয় সওয়াল করেছেন বা মত দিয়ছেন স্বাধীন তিব্বতের পক্ষে। একইসঙ্গে সমীক্ষায় দুই-তৃতীয়াংশের মত অনুযায়ী ধর্মগুরু দলাইলামাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান 'ভারত রত্ন' দিয়ে সম্মানিত করা হোক।
সম্প্রতি ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস এবং সি ভোটারের এই সমীক্ষা চালায়। সেখানেই উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দলাইলামাকে শুধু ভারত রত্ন দেওয়াই নয়, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন ভারতীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতি রক্ষায় উল্লেযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন দলাইলামা। একইসঙ্গে চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন তিব্বত সরকার নিয়েও অন্ধকারে রয়েছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালের ২৯ এপ্রিল উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে গঠিত হয়েছিল তিব্বত সরকার। ১৯৬০ সালের মে মাসে যার প্রধান কার্যালয় হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় স্থানান্তরীত করা হয়। চিনের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিব্বত চলতি মাসেই তাদের নতুন সরকার নির্বাচিত করেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেব লোবসাং সাংয়ায়। এই সমীক্ষায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই চিনে প্রতি যে ভারতীয়দের ক্ষোভ রয়েছে তা প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃভারত নিয়ে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম বিবৃতি, পাক-চিনের উদ্বেগ বাড়ালেন বাইডেন
পাশাপাশি তিব্বতের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলতে থাকে। এই সমীক্ষায় অপর একটি অংশে উঠে এসেছে ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ভারত সরকারের হস্তক্ষেপেই তিব্বতে যে মানবীধিকার লঙ্ঘন চলে তা রোধ করা সম্ভব। এছাড়া ধর্মগুরু দলাই লামার গ্রহণযোগ্যতা সব থেকে বেশি রয়েছে ৫৫ বছরের উর্ধ্বে মানুষদের মধ্যে। ৬৮.৫ শতাংশ মানুষ এমনটাই মনে করেন। ৬৬ শতাংশ মহিলাদের মধ্যেও তিব্বতের ধর্মগুরুর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায। এছাড়া শোনা যায় ধর্মগুরু দলাইলামাকে ও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে চিন। এমনকী চিন তাদের নতুন পঞ্চম লামা নির্ধারন কের ফেলেছে। যিনি চিনের এজেন্ডার পক্ষেই সওয়াল করবেন। ফলে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে এই সমীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।