রেল কর্তার কথায় কোভিডের কারণে ট্রেনে তেমন কোনও ভিড় ছিল না। প্রতিটা কর্পার্টমেন্ট যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা কম বলেও মনে করছেন তিনি। তবে নাশকতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দূরপাল্লার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘনায় (Maynaguri Train Accident) উদ্ধার কাজেই সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে। অন্ধকার হয়ে গেলেই উদ্ধারকাজে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম (DRM) দিলীপ কুমার সিং। তিনি বলেন পাটনা-গুয়াহাটি-বিকানর এক্সপ্রেস (Patna-Guwahati Bikan Express) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই রেল কর্তরা ঘটনাস্থনে পৌঁছে গেছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে বেশ কয়েকটি আলাদা আলাদা দল কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রেল কর্তার কথায় কোভিডের কারণে ট্রেনে তেমন কোনও ভিড় ছিল না। প্রতিটা কর্পার্টমেন্ট যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা কম বলেও মনে করছেন তিনি। তবে নাশকতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দূরপাল্লার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। ২৫ কামরার ট্রেনের মধ্যে চারটি কামরা উল্টে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেল সূত্রের খবর ট্রেনটি লাইন চ্যুত হওয়ার সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ৪০ কিলোমিটার।
যাইহোক এদিনের ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলা শাসক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় ১০ জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে রাজ্য প্রশানের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন দুর্ঘটনা নিয়ে তিনিো বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছেন। গুয়াহাটি- বিকানির এক্সপ্রেস লাইনচচ্যুত হয় দোমোহিনীর কাছে। প্রথম স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময় আসে পুলিশ ও রেলের উদ্ধারকারী দল।