পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত অটোচালকে এদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। অভিযুক্তের উপস্থিতিতে প্রমাণ সংগ্রহ করে। সেই সময়ই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে।
উজ্জয়িনী ধর্ষণকাণ্ডে ৭২ ঘণ্টার পর মাত্র একজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি একজন অটো চালক। কিন্তু পুলিশ সূত্রের খবর এদিন অভিযুক্ত পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। যদিও তার অভিসন্ধি সফল হয়নি। অন্যদিকে নির্যাতিতার অবস্থা এখনও স্থিতিশীল। তবে মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণ কথা স্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত অটোচালকে এদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। অভিযুক্তের উপস্থিতিতে প্রমাণ সংগ্রহ করে। সেই সময়ই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন তদন্তকারীদের একটি দল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে মেয়েটির জামাকাপড় উদ্ধার করে। তখনই সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত ভরত সোনি পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় সে একটি সিমেন্টের রাস্তার ওপর পড়ে যায়। তারপরই তদন্তকারীদের একটি দল তাকে কাবু করে। অভিযুক্ত পালানোর সময় আঘাত পেয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার শচীন শর্মা বলেছেন, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে নির্যাতিতা এখনও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। মানসিকভাবে নাবালিকা এখনও বিপর্যস্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হয়েছে। প্রথমে নির্যাতিতা কিশোরীকে স্কুল ড্রেসে দেখা গিয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নির্যাতিতাকে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে নির্যাতিতা কিশোরী রাস্তা দিয়ে সাহায্যের আর্তি জানিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান সোমবার ভোরবেলা এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মেয়েটির ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে নির্যাতিতা গোপনাঙ্গ দিয়েও রক্ত ঝরছিল। পুলিশের অনুমান নির্যাতিতা মানসিক প্রতিবন্দ্বী । সাতনা থেকে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।