রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক, কি প্ল্যান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর, জেনে নিন

Published : Apr 07, 2022, 06:46 PM IST
রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক, কি প্ল্যান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর, জেনে নিন

সংক্ষিপ্ত

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী একটি ‘স্কুল চলো অভিযান’ চালু করেছেন। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Primary School) শিক্ষার্থীদের ১০০% তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করা এবং সরকারী স্কুলগুলিতে পড়ুয়ারা যে সমস্যার মুখে পড়ে, তা দূর করাই এর লক্ষ্য হবে। 

রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির হাল বেহাল। দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে মাদ্রাসাগুলির শিক্ষাব্যবস্থা রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক ও বহু প্রাচীন। আধুনিক শিক্ষাল্যবস্থার ছোঁয়া এখনও লাগেনি সেখানে। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর। বলা ভালো রাজ্য জুড়ে মাদ্রাসাগুলির বেহাল পরিস্থিতি ফেরাতে সার্জিকাল স্ট্রাইক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

যোগী আদিত্যনাথ দ্বিতীয় বারের জন্য উত্তরপ্রদেশের তখতে বসেছেন। যোগী ২.০-তে আরও কড়া প্রশাসনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য যোগীর জয়ের মূল ভিত্তি ছিল উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। সেদিকে তাকিয়ে আরও কড়া বন্দোবস্ত করতে চলেছে যোগী সরকার। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এবার মাদ্রাসাগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী যোগী প্রশাসন। 

কি কি পদক্ষেপ

উত্তরপ্রদেশ সরকার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হবে যারা ভারত এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে, সংখ্যালঘু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, ড্যানিশ আজাদ আনসারি, যিনি যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভা 2.0-এর একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী, বলেছেন, সরকার চায় মাদ্রাসা ছাত্ররা দেশপ্রেম সম্পর্কে অবগত হোক।  

আধুনিক শিক্ষার ওপর জোর

যোগী সরকারের 2.0-তে, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই শিক্ষাকে প্রধান ফোকাস করা হয়েছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী একটি ‘স্কুল চলো অভিযান’ চালু করেছেন। প্রোগ্রামটির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১০০% তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করা এবং সরকারী স্কুলগুলিতে পড়ুয়ারা যে সমস্যার মুখে পড়ে, তা দূর করাই এর লক্ষ্য হবে। 

যোগী আদিত্যনাথ মৌলিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলেছেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দুই বছর পর এই ক্যাম্পেন শুরু হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআর-এর সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশ জুড়ে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষা নেওয়া শিশুরা ৪০০ বছরের পুরোনো সিলেবাসেই পড়াশোনা করছে। 

শিশুদের জন্য পাঠ্য বইয়ে কোরানের অসংখ্য অংশ পাওয়া গেছে। শিশুদের ধারণা স্পষ্টভাবে তৈরি করার জন্য, সচিত্র প্রতিবেদন দেখতেও দেওয়া হয় না। এনসিপিসিআর রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে শ্রেণীকক্ষে জিনের জন্য বিধান রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষায় কো-এডুকেশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যোগীর মূল চ্যালেঞ্জ এই বিষয়গুলির সঙ্গে মোকাবিলা করা। 

বিশেষ সূত্রের খবর মাদ্রাসার তরফে আগে জানানো হয়েছিল এখানে সিলেবাসে অংক, ইংরেজি ও কম্পিউটারের মত বিষয় পড়ানো হয়। কিন্তু তা যে সত্যি নয়, সে বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন এনসিপিসিআর আধিকারিকরা। মাদ্রাসার শিশুদের ওপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়। তাঁরা বড় হয়ে কী হতে চায়, এই প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ ছাত্রের উত্তর ছিল মৌলনা বা মৌলভি। তারা জানিয়েছিল, তাদের পাঠ্যে শুধু উর্দু রয়েছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

দেশজুড়ে ইন্ডিগো-র উড়ান পরিষেবায় বিপর্যয়, সিইও-কে শোকজ নোটিস কেন্দ্রের
রাতের গোয়ায় নাইট ক্লাবে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পর্যটক সহ নিহত অন্তত ২৩ জন