আগামী সোমবারই এই সংক্রান্ত জনসার্থ মামলার শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
'সুপ্রিম কোর্টের সময় নষ্ট করা হচ্ছে', বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া পিটিশন প্রসঙ্গে বললেন আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া:দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন'-এর প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী টুইটার, ইউটিউব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এই তথ্যচিত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র বিরোধী বলে দাবি করে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। ঘটনার বিরোধিতায় একের পর এক পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এই প্রসঙ্গে এবার আইন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু টুইট করে লেখেন,'দেশের হাজার হাজার মানুষ বিচার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আর এইভাবে আদালতের সময় নষ্ট করা হচ্ছে।'
বিবিসির 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় সোচ্চার দেশের বিরোধী দলগুলি তথা পড়ুয়ারাও। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের উদ্যোগে দেখানো হচ্ছে এই তথ্যচিত্র। এবার আগামী সোমবারই এই সংক্রান্ত জনসার্থ মামলার শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া:দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন'-এর প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী টুইটার, ইউটিউব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এই তথ্যচিত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র বিরোধী বলে দাবি করে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। এই মর্মে একের পর এক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। আগামী সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ মামলাটি উঠবে। অ্যাডভোকেট এমএল শর্মা এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিইউ সিং এই বিষয়ে তাদের পৃথক জনস্বার্থ মামলার জরুরী তালিকা চেয়ে আবেদনের বিষয়টি জানাবেন। এছাড়াও প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, কর্মী-আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দ্বারা আরেকটি আবেদন করা হয়েছে।