বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন আক্রমণকারী পুলিশকর্মী, ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গুলি করার পর প্রকাশ পেল তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট

গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকাকালীন কেন এমন কাজ করলেন পুলিশকর্মী গোপালকৃষ্ণ দাস? ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করতেই প্রকাশ হয়ে পড়ল দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক গাফিলতি। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 30, 2023 8:09 AM IST / Updated: Jan 30 2023, 01:56 PM IST

যাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ওড়িশা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের ওপর, সেই সাব-ইনস্পেক্টরই গুলি করে দিলেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসকে। আক্রমণকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের নাম গোপালকৃষ্ণ দাস। কিন্তু, এতও গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকাকালীন কেন এমন কাজ করলেন এই পুলিশকর্মী? ঘটনার তদন্ত করতেই প্রকাশ হয়ে পড়ল দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক গাফিলতি।

রবিবার ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসের উপরে হামলা চলার পরই আটক করা হয় পুলিশের এএসআই গোপালকৃষ্ণ দাসকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এদিকে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী সম্পর্কে তথ্য জানতে গিয়েই জানা গেল, ওই পুলিশকর্মী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তাঁর বাইপোলার ডিসঅর্ডার রয়েছে। একজন সাইকায়াট্রিস্টের কাছে প্রায় ৮ বছর ধরে তিনি চিকিৎসা করাচ্ছেন।

এই বাইপোলার ডিসঅর্ডার হল, সারাক্ষণ খিটখিটে মনোভাব, খুব অল্পেই দুঃখিত হয়ে পড়া, কোনও কিছু মন দিয়ে শুনতে বা মনে রাখতে অসুবিধা, সবসময় হতাশা, নিজের ওপরে সন্দেহ, দৈনন্দিন কাজে অনীহা, ইত্যাদি ধরনের মানসিক রোগ একযোগে থাকা। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর গোপালকৃষ্ণ দাস গঞ্জম জেলার জলেশ্বরখান্ডি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওড়িশার বেরহামপুরে পুলিশ কন্সটেবল হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১২ বছর আগে ঝাড়সুগুড়া জেলায় তাঁর বদলি হয়। কিন্তু, কর্মজীবন এগোনোর সাথে সাথেই তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, তিনি কথায় কথায় রেগে যাচ্ছিলেন। ফলত, প্রায় ৮-১০ বছর আগে তিনি ওড়িশার ব্রহ্মপুরের এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠির দ্বারস্থ হন। ওই চিকিৎসক বুঝতে পারেন যে গোপালকৃষ্ণ বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। তিনি তাঁকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও, চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, গত ১ বছরে ওই পুলিশকর্মী তাঁর কাছে আর চিকিৎসা করাতে আসেননি।

কাজের সূত্রে নিজের স্ত্রী এবং পরিবারের থেকে অনেকটাই দূরে থাকতেন গোপালকৃষ্ণ দাস। নিয়মিত ওষুধ খাওয়া নিয়েও পরিবারের সন্দেহ রয়েছে। রবিবার গুলি করার আগে নিজের মোবাইল ফোনও অনেকটা দূরে রেখে এসেছিলেন তিনি। নিরাপত্তা দফতরের দিকে প্রশ্ন উঠেছে, এমন জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে কীভাবে আইনত রিভলভার দেওয়া হল? এবং সর্বোপরি, কীভাবে তাঁকে একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হল?

আরও পড়ুন-
ইরান, পাকিস্তানের পর এবার চিন ও কিরগিস্তান, আধ ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর জোরালো ভূমিকম্প

‘গুজরাত দাঙ্গা’ নিয়ে মোদী সম্পর্কিত বিবিসি তথ্যচিত্র কেন নিষিদ্ধ দেশে? প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
২০২৩-এর বইমেলায় শিশুদের জন্য ২০ হাজার ‘আবোল তাবোল’ বিনামূল্যে, উপহার থাকছে বৃদ্ধদের জন্যেও

Share this article
click me!