শাসকদলের সঙ্গে ব্যাঙ্কের কর্তাদের অতি শীঘ্রই একটি বৈঠক হতে পারে। সাধারণ নাগরিকদের জন্য আবাসন প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এলে ভোটব্যাঙ্কেও বড়সড় লাভ হতে পারে বলে আশা রাখছে কেন্দ্রীয় শাসকদল।
দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যাপক হারে সুদ বাড়াতে হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে। বাড়ি-গাড়ি কিনতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন নাগরিকরা। ১৫ অগাস্ট নয়াদিল্লির মঞ্চ থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মানুষের বসবাস করার ঠাঁই কেনার খরচের বোঝা কমাতে আবাসনের বিশেষ প্রকল্প আনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবাসন মন্ত্রক জানিয়েছিল, কেন্দ্রের তরফ থেকে গৃহঋণে ছাড় দেওয়া হবে। সেই কথামতো, চড়া সুদের গৃহঋণে ভর্তুকি দিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার। ২০২৪-এর লোকসভা ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ নাগরিকদের জন্য এই আর্থিক সুবিধা নিয়ে এলে ভোটব্যাঙ্কেও বড়সড় লাভ হতে পারে বলে আশা রাখছে কেন্দ্রীয় শাসকদল।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে যে, ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিলে তার সুদে ৩ থেকে ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে নয়া আবাসন প্রকল্পে। ২০ বছরের জন্য ঋণগ্রহীতারা ৫০ লক্ষ টাকার কম ধার নিয়ে থাকলে, ভর্তুকির এই সুবিধা পাবেন। গ্রাহকের ঋণ নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যাবে কেন্দ্র-প্রদত্ত ভর্তুকির টাকা। এই প্রকল্পে সারা ভারত জুড়ে শহরাঞ্চলের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
যদিও, কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। তবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র থেকে জানা গেছে যে, শাসকদলের সঙ্গে ব্যাঙ্কের কর্তাদের অতি শীঘ্রই একটি বৈঠক হতে পারে। ঋণ দেওয়ার জন্য এখনও অবধি ব্যাঙ্কগুলিকে কোনও লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়নি। তবে, কোন কোন গ্রাহকদের এই প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়া যেতে পারে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে ব্যাঙ্ক, সূত্র মারফৎ জানা গেছে এমনটাই।