তফসিলি জাতি শিক্ষার্থীদের পাশে মোদী সরকার
বৃহস্পতিবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা
পোস্ট ম্যাট্রিক এডুকেশন প্রকল্পে মোট ৫৯,০৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ
পরের ৫ বছরে উপকৃত হবে ৪ কোটি তফসিলি শিক্ষার্থী
তফসিলি জাতি-উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তার জন্য ম্যাট্রিক পরবর্তী বৃত্তি দেয় কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর), কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সেই প্রকল্পে বেশ কয়েকটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে আগামী পাঁচ বছরে ৪ কোটিরও বেশি তফসিলি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য এদিন মন্ত্রিসভা মোট ৫৯,০৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এর ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫,৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার, বাকিটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির।
এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দরিদ্রতম পরিবারগুলির দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে, তাদের পছন্দের উচ্চশিক্ষার কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রচার শুরু করা হবে। সরকারের অনুমান এইভাবে আনুমানিক ১.৩৬ কোটি দরিদ্র শিক্ষার্থী, যারা বর্তমানে দশম শ্রেণির পর পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাদের আগামী ৫ বছরে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হবে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছর থেকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের মধ্যে এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সহায়তা ছিল প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬'এ তা প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে সালের মধ্যে বার্ষিক ৬০০০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এই প্রকল্পটি পরিচালনা করা হবে একটি শক্তিশালী সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা-সহ গঠিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এর ফলে এতে করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দক্ষতা এবং কোনও বিলম্ব ছাড়াই সময়মতো সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। এই অনলাইনে পোর্টালে রাজ্যগুলিকে, আবেদনকারীদের যোগ্যতা, জাতি, আধার সনাক্তকরণ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণগুলি বিষদে যাচাই করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা পাবেন ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার ব্যবস্থায়। এখনও অবধি ঠিক করা হয়েছে, এর জন্য আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম-টি ব্যবহার করা হবে।
২০২১-২২ সাল থেকেই এই প্রকল্পের তহবিলের অর্থ দিতে শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্য সরকার তাদের দেয় অংশ প্রদান করার পরই, কেন্দ্র তাদের ভাগের টাকা দেবে। তাও রাজ্যের মারফত নয়, ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার ব্যবস্থায় ব্যবস্থায় সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। সোশ্যাল অডিট, তৃতীয় পক্ষের দ্বারা বার্ষিক মূল্যায়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধ-বার্ষের স্ব-নিরীক্ষা প্রতিবেদনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টিতে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।