
শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশই স্থলভাগের দিকে এদিয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় আমফান। কলকাতা কিছু দূরে এর অবস্থান। চলতি সপ্তাহের বুধবার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার কথা আমফানের। এই পরস্থিতিতে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। করোনা সংকট চলাকালীন এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা জরুরী তা নিয়েই আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়েছেন।
বাংলা ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাংলা ও ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল কাজ করবে বলেও জানান হয়েছে। উপকূল সংলগ্ন বাংলার ৬টি জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৭টি দল মোতায়ের করা হয়েছে। ১০টি দল মোতায়েন রয়েছে ওড়িশায়।ইতিমধ্যেই দুটি রাজ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে উপকূল সংলগ্ন এলাকাও।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন ৪.০-এ রাতের ভারতে জারি ১৪৪ ধারা, নিয়ম শিথিল করা হলেও জোর নিরাপদ দূরত্বে ..
পশ্চিম বঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নিরাপদ শারীর দূরত্ব বজায় রেখেই শুরু হয়েছে বিপদসংকূল এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে স্থানীয়দের। স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে পাঠান হচ্ছে তাঁদের। করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।