রাহুন গান্ধী বলেছেন, 'নির্বাচনী বন্ড বিশ্বের সবথেকে বড় তোলাবাজি স্কিম। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর মাস্টারমাইন্ড।'
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সোমবার একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন নির্বাচনী বন্ডের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল দেশকে কালো টাকা থেকে মুক্ত করা। প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির পরই সরব হন রাহুল গান্ধী। তিনি নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বলেন, 'এখন তিনি ধরা পড়ে গেছেন। তাই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন।' এর আগেও রাহুল গান্ধী সরব হয়েছিলেন নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে।
রাহুন গান্ধী বলেছেন, 'নির্বাচনী বন্ড বিশ্বের সবথেকে বড় তোলাবাজি স্কিম। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর মাস্টারমাইন্ড।' তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা করতে বলুন, যে দিন সিবিআই তদন্ত শুরু হয় তারপর দিনই কি করে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা পায়। আর তারপরই কি করে সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনেকেই ছাড়া পেয়েছে গেছে সিবিআই বা ইডির তদন্তের হাত থেকে।
Fact-check: সত্যি কি জাল করা যাবে EVM? ভাইরাল ভিডিওর পর আপনার মূল্যবান ভোট সুরক্ষিত কিনা জানাল কমিশন
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, নির্বাচনী বন্ডের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নাম আর তারিখ। 'আপনি যদি নাম আর তারিখগুলি দেখেন তবে আপনি জানতে পারবেন যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যখনই নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল তখনই তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন ধরা পড়েগেছেন। তাই ইন্টারভিউ দিচ্ছেন।'
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল প্রায় তিন হাজার জন। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২৬ টি গ্রাহক সংস্থার বিরুদ্ধেই তদন্ত হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, এই সংস্থাগুলি তদন্তের সময়ই নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী বন্ডের প্রায় ৬৩ শতাংশ বিজেপির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ৩৭ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, বিজেপির থেকে নির্বাচনী বন্ডের বেশি সুবিধে পেয়েছিল বিরোধীরা।