অশান্ত ভারতের রাজধানী দিল্লি, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হিংসার ছবি

  • পেরিয়ে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়
  • এখনও হিংসা অব্যাহত রাজধানীতে
  • ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যু মিছিল
  • নিজের অভিজ্ঞতার কাহিনী শোনালেন এক আক্রান্ত

Asianet News Bangla | Published : Feb 26, 2020 11:28 AM IST

গত ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে  উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। নেট দুনিয়ায় ঘুরছে হিংসার নানা ছবি। এরমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে দু হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে উবু হয়ে বসে আছে এক ব্যক্তি। রক্তাক্ত ওই ব্যক্তিতে ঘিরে ধরে লাঠি, রড, হকি স্টিক দিয়ে মারছে কয়েকজন। উত্তর-পূর্ব দিল্লির এই ছবিই জানান দিচ্ছে বর্তমানে ভারতের রাজধানীর প্রকৃত পরিস্থিতি।

 

 

রাজধানীতে হিংসার ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইরাল হওয়া ওই ছবির প্রধান চরিত্র মহম্মদ জুবেইরও। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুবেইর জানিয়েছেন," গত মঙ্গলবার নামাজ পড়ে ফিরছিলাম।  বাচ্চাদের জন্য নিয়েছিলাম মিষ্টি । সেইসময়  হঠাৎ আমায় ঘিরে দলে একদল উন্মত্ত জনতা। তাদের হাতে ছিল লোহার রড, হকি স্টিত, লাঠি।"

আরও পড়ুন: অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী, দিল্লিতে শান্তি ফেরাতে দিলেন ট্যুইট বার্তা

জুবেইর বললেন, 'আমার হাড়গোড় ভেঙে না-যাওয়া পর্যন্ত ওরা মারতে থাকল।  আমি ওদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলাম৷ ওরা আমায় আমার ধর্ম তুলে গালিগালাজ করতে শুরু করল৷ আমি ওদের পায়ে পড়লাম, আরও মারতে লাগল৷ ওরা মাঝে মাঝে বিজেপি নেতা কপিল শর্মার নাম বলছিল৷ তারপর বেশি কিছু মনে পড়ছে না৷ তীব্র মার খেতে খেতে আমার মাথা তখন ঘুরছে, আমার সন্তানরা নিরাপদে আছে তো? পরে আমার ওই ছবিটি দেখে, তাকাতে পারছি না৷ আমার পায়ে তীব্র যন্ত্রণা৷' 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে উদ্ধার আইবি অফিসারের দেহ, শাহের পদত্যাগ দাবি সনিয়ার, ট্রাম্প যেতেই ট্যুইট মোদীর

সেদিন অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত মারা হয়েছিল জুবেইরকে। তার সর্বশরীরে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। জিটিবি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল অচৈতন্য অবস্থায়। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে আপাতত এক আত্মীয়র বাড়িতে রয়েছেন তিনি। 

 

 

পেশায় মজুর জুবেইরের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। প্রত্যেকেই নাবালক। সন্তানদের আপাতত উত্তরপ্রদেশের গ্রামের  বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আপাতত ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। মারধরের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করতেও ভয় পাচ্ছে জুবেইরের পরিবার। 

Share this article
click me!