'১৯৮৪ আর হতে দেওয়া যায় না', নাগরিকদের জেড-লেভেল সুরক্ষা দিতে বলল হাইকোর্ট

১৯৮৪-র পরিস্থিতি ফের হতে দেওয়া যায় না

এমনই পর্যবেক্ষণ শোনালো দিল্লি হাইকোর্ট

চলতি হিংসার ঘটনা  নিয়ে এক মামলার শুনানি ছিল

শিবসেনাও চলতি ঘটনাকে ১৯৮৪-র দাঙ্গার সঙ্গে তুলনা করেছে

amartya lahiri | Published : Feb 26, 2020 10:27 AM IST / Updated: Feb 26 2020, 04:06 PM IST

'১৯৮৪ সালের মতো পরিস্থিতি আর হতে দেওয়া যায় না'। বুধবার এমন মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লিতে সিএএ আইনকে ঘিরে যে একের পর এক হিংসার ঘটনা চলছে, তাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন করে উচ্চ আদালতে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই দিল্লি হাইকোর্ট এই পর্যবেক্ষণ দিল। আদালতের আগেই অবশ্য শিবসেনার মুখপত্র 'সামানা' সাম্প্রতিক সংস্করণে, দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার তুলনা করা হয়েছে।

এদিন দিল্লি হাইকোর্ট শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বলেছে, 'নাগরিকদের জেড-লেভেল সুরক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে'। আহত ও অসুস্থদের নিরাপত্তা এবং নিহতদের শেষকৃত্যের জন্য তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু মাত্র এই ঘটনার জন্যই একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে কম্বল, ওষুধ, খাবার এবং শৌচাগার-এর মতো মৌলিক সুযোগ সুবিধাসহ পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

আরও পড়ুন - দিল্লিতে উদ্ধার আইবি অফিসারের দেহ, শাহের পদত্যাগ দাবি সনিয়ার, ট্রাম্প যেতেই ট্যুইট মোদীর

দিল্লির এই সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে এদিন সিবিএই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। স্কুলের পঠন পাঠনও আপাতত বন্ধ। দিল্লি হাইকোর্ট এদিন, সিবিএসই বোর্ড-কে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার বিষয়ে এদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত বলেছে, সিবিএসই কী সিদ্ধান্ত নিল তা  সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জনগণকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন - উত্তপ্ত দিল্লিতে কেজরির বাড়ির সামনে জমায়েত, জল কামান দিয়ে পড়ুয়াদের সরাল পুলিশ

১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর হাতে খুন হওয়ার পরই দিল্লি ও তার প্রতিবেশী জেলাগুলিতে শিখ নিধন যজ্ঞ শুরু হয়েছিল। কয়েকশ শিখ-কে হত্যা করা হয়, বেছে বেছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়ি-দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এদিন শিবসেনার মুখপত্র 'সামানা'য় বলা হয়, দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ লাঠি, তরোয়াল, রিভলভার হাতে রাস্তায় নেমেছে। দিল্লির রাস্তায় রক্ত ঝরছে। হরর ফিল্মের মতো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে দিল্লিত, যা ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার চরম বাস্তব-কে তুলে ধরছে।

আরও পড়ুন - পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে দিল্লি পুলিশের, তীব্র তিরস্কার শীর্ষ আদালতের

গত রবিবার থেকে উত্তর পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ মৌজপুর এলাকায় সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। গত দুই দিনে তা চরম আকার নেয়। ছড়িয়ে পড়ে উত্তর পূর্ব দিল্লি জেলার বিভিন্ন অংশে। এদিন সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে হিংসার বলি হয়েছে ২০ জন। তারমধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল এমনকী একজন আইবি-র অফিসারওল আছেন।

 

Share this article
click me!