আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন, এবছর নির্ঘারিত সময়েই বর্ষা আসবে দেশে। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে দিয়ে পয়লা জুন অর্থাৎ সোমবার কেরল উপকূলে ঢুকে পড়ল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু৷ আর কেরল নির্ধারিত সময়ে বর্ষা আসার অর্থ দেশের অন্যান্য অংশে ঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হবে৷ এর পাশাপাশি চলতি বছর বর্ষার কোনও ঘাটতি থাকবে না বলেও জানাচ্ছে মৌসম ভবন৷
সোমবার মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়েছে৷ সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কেরলের একদম দক্ষিণ প্রান্তে বৃষ্টিপাত হয়। তারপর একটু একটু করে আরও দেশের মূলভাগে ঢুকতে শুরু করে৷ এরপর টানা চারমাস বর্ষাকাল চলে৷ সারা বছরের মধ্যে এই চার মাসেই অধিক বৃষ্টিপাত হয়৷
আরও পড়ুন: কলকাতার মত এবার পরিণতি হতে পারে মুম্বইয়েরও, লাল সতর্কতা জারি করে দিল মৌসম ভবন
এদিকে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই কেরল ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। যার ফলে তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। গত ৩-৪ দিন হল বৃষ্টি চলছে কেরলের দক্ষিণ প্রান্ত ও লাক্ষাদ্বীপে।
বর্ষা ঢুকতেই কেরলের ৯ জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানমথিত্তা, আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ইড়ুক্কি, মালাপ্পুরম এবং কান্নুর এই নয়টি জেলায় জারি হয়েছে ইয়োলো অ্যালার্ট।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর মূলত এই চার মাস বৃষ্টি হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে। ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭৫ শতাংশই হয় এই চার মাস। আর এই বৃষ্টির উপরেই নির্ভর করে ভারতের কৃষিকাজ এবং দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ।
আরও পড়ুন: সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়াল ১ লক্ষ ৯০ হাজার, আক্রান্ত দেশের তালিকায় সপ্তমে উঠে গেল ভারত
কেরলে নির্ধারিত সময়ে বর্ষা আসার ফলে দেশের অন্যান্য অংশেও সঠিক সময়েই বৃষ্টি শুরু হবে বলে অনুমান করছেন আবহবিদরা। এর পাশাপাশি চলতি বছর বর্ষায় কোনও ঘাটতি থাকবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হবে দেশে।