৭ মাসের মাথায় ভোট উত্তর প্রদেশে, তার আগে সামনে এল #MoodOfUP-র সমীক্ষা রিপোর্ট

এই সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মানুষের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি-র অভিজ্ঞতার একটা ঝোঁকের সন্ধান করা হয়েছে। আর এইখান থেকে পাওয়া সমীক্ষার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টিকোণের সন্ধান করা হয়েছে। 

চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। এর সঙ্গে অবশ্যেই একটা গুরুত্ব তৈরি করেছিল অসম এবং তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিধানসভা নির্বাচনগুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে আরও একটি বিধানসভা নির্বাচন সামনে রয়েছে যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর এই বিধানসভা নির্বাচন হল উত্তরপ্রদেশের। বলতে গেলে ২০১৭ সালে বিশাল জয় নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সরকার তৈরি করে বিজেপি। এমনকী, যোগী আদিত্যনাথ-কে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরে আরও এক বড় রাজনৈতিক চাল চেলেছিল গেরুয়া শিবির। প্রায় ৫ বছর শাসনকাল পূর্ণ করতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০২২ সালের শুরুতেই সেখানে বিধানসভা ভোট। খাতায় কলমের হিসাব বলছে এখনও ৭ মাস রয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের মেয়াদ। তার আগেই উত্তরপ্রদেশের মনের মেজাজ বুঝতে ময়দানে নেমে পড়েছে এশিয়ানেট নিউজ। জনমত সমীক্ষায় নাম করা সংস্থা জন কি বাত-এর সঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ একটা তথ্যানুসন্ধান চালায়। যার নাম হ্যাসট্যাগ মুড অফ ইউপি (#MoodOfUP)-যা আসলে একটি জনমত সমীক্ষা(Opinion Poll)। এই সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মানুষের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি-র অভিজ্ঞতার একটা ঝোঁকের সন্ধান করা হয়েছে। আর এইখান থেকে পাওয়া সমীক্ষার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টিকোণের সন্ধান করা হয়েছে। ভোট আসতে আসতে সন্দেহ নেই যে এই মানসিকতা ও দৃষ্টিকোণের অনেকটাই পরিবর্তন ঘটবে- ফলে সেক্ষেত্রের তথ্যের তারতম্য হওয়াটাও এক্কেবারে নিশ্চিত।  

৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে #MoodOfUP-কে
------------------------------------ 
রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির ভিত্তিতে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশকে। এই ছয়টি অঞ্চল হল-- কানপুর-বুন্দেলখণ্ড, ব্রিজ, আওয়াধ, পশ্চিম, কাশি এবং গোরখ। জুলাই মাসের শেষ থেকে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লাগাতার এই জনমত সমীক্ষা চালানো হয়। এই জনমত সমীক্ষায় এশিয়ানেট নিউজের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধেছিল জন কি বাত নামে পরংসখ্যান নিয়ে কাজ করা সংস্থা। এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া কর্মীরা এক্কেবারে ময়দানে নামে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে- তাদের সামনে মুড অফ ইউপি-র পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়। এরপর এই সব মানুষের সম্মতি নিয়ে তাদের কাছ থেকে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে হ্যাসট্যাগ মুড অফ ইউপি (#MoodOfUP)। 

তথ্য সংগ্রহে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ১৪টি প্রশ্নের-
------------------------------- 
প্রশ্নমালাকে দুটি পর্যায়ে সাজানো হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে জোর দেওয়া হয়েছিল নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উপরে। 

দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও সাতটি প্রশ্ন-কে উত্তরদাতাদের সামনে মেলে ধরা হয়েছিল। 

সকলেই যে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন-এমনটা নয়। অনেক বিষয়ে একটা বড় সংখ্যক উত্তরদাতা তাদের মতামতকে আনডিসাইডেড বলেও ব্যাখ্যা করেছেন। বিশেষ করে কাস্ট ভিত্তিক ভোট পাওয়া ক্ষেত্রে কোন দল এগিয়ে- এই ইস্যুতে বেশ কিছু অঞ্চলের বিশেষ কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ কোনও উত্তর দেননি। মনে করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এই আনডিসাইডেড ফ্যাক্টরের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। তবে, এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের মানুষের রাজনৈতিক মনোভাব কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা কিন্তু অনেকটাই পরিস্কার করে দিয়েছে  হ্যাসট্যাগ মুড অফ ইউপি (#MoodOfUP)। এই সমীক্ষার বিস্তারিত তথ্য পেতে পরবর্তি রিপোর্টগুলি ক্লিক করুন এবং পেয়ে যান উত্তরপ্রদেশের একটি রাজনৈতিক চিত্র।