বৃহস্পতিবার এই জঙ্গীগোষ্টির কার্যকলাপ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে অসম পুলিশের হাতে। অসম পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে ৬জন বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদী অসমে প্রবেশ করে।
অসমে আল কায়দা সন্দেহে ৩৪ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি নতুন কোনও নাশকতার ছক কষছিল এই জঙ্গী গোষ্টি। এই উদ্দেশেই অসমে সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এই জঙ্গীগোষ্টির কার্যকলাপ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে অসম পুলিশের হাতে। অসম পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে ৬জন বাংলাদেশী সন্ত্রাসবাদী অসমে প্রবেশ করে। এদের মূল লক্ষ ছিল অসমের চর এলাকা এবং মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলি।
জানা যাচ্ছে, AQIS/ABT-এর সঙ্গে যুক্ত এই বাংলাদেশী সন্ত্রাসীরা রাজ্যের বহু মানুষকে নিজেদের দলে নিয়োগ করেছে। সন্দেহভাজন ছয় জনের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। বাকি পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগে, গোয়ালপাড়া জেলা পুলিশ আল-কায়েদা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নাশকতার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ( Special Task Force) বা STF এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল দুজন। বছর ৩৭ এর আব্দুর রাকিব সরকার এবং বছর ৩২ এর কাজি আহসানউল্লাহকে উত্তর ২৪ পরগণার শাসন থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই একাধিক নাশকতামূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ধৃত দুই আদপে দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের' সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন - আল কায়দার সঙ্গে জড়িত! শাসন থেকে গ্রেফতার দুই
ধৃতদের কেউই অবশ্য উত্তর চব্বিশ পরগণার শাসন এলাকার বাসিন্দা নয়। আব্দুর রাকিব সরকারের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে। বছর বত্রিশের আহসানউল্লাহ আদপে হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা হলেও, তিনি থাকতেন তপসিয়ায়। দুজনের বিরুদ্ধেই একাধিক নাশকতার ছকের অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের বিশেষ শাখা STF ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রচারপত্র এবং কিছু নথি পেয়েছে। তার ভিত্তিতেই, দুই সন্দেহভাজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ( Indian Penal Code) UAPA ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। শাসন এলাকার খড়িবাড়ি অঞ্চল থেকে এই দুই গ্রেফতার হয়েছে।
ডিজিপি আসাম ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, "ইতিমধ্যেই আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ৩৪ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসাম পুলিশ এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। বাংলাদেশীরা কিছু সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন - ৩০ হাজার টাকার বিনিয়ম ভারতে হামলার ছক, জঙ্গি পাঠিয়েছিল পাক কর্নেল- দাবি ভারতীয় সেনার