আগামী ৫ ই অগস্ট অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বহু প্রতিক্ষিত ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান। হাতে বাকি আর মাত্র কদিন। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , যোগী আদিত্যনাথ সহ আরও বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি। করোনার আবহে সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই সারা হবে এই অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে ছত্তিশগড় থেকে ৮০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অযোধ্যা যাচ্ছেন এক রামভক্ত। যার নাম ফৈয়াজ খান। মুসলিম হলেও ফৈয়াজ মনে প্রাণে রামভক্ত। তাই রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকতে চান এই যুবক।
ফৈয়াজের গ্রামের নাম চন্দখুড়ি৷ কথিত আছে, ছত্তীসগড়ের এই গ্রামেই নাকি জন্মেছিলেন রামের মা কৌশল্যা৷ সেখান থেকে মন্দিরের জন্য মাটি ও ইট নিয়ে ইতিমধ্যে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন ফৈয়াজ। গ্রামে তাঁর মত আরও অনেক মুসলিম রামভক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই যুবক। আপাতত ফৈয়াজ পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের অনুপপুরে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণের আবহেই রাম জন্মভূমিতে পুজো যোগীর, মন্দির প্রস্তুতির তোড়জোড় দেখলেন সরেজমিনে
সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফৈয়াজ জানিয়েছেন, ‘মুসলিম হলেও আমি রামের ভক্ত। আমাদের পূর্বসূরিরাও হিন্দুই ছিলেন।’ ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে এই মুসলিম যুবকের। তাঁর কথায়, ‘এখন মসজিদে যাই বা চার্চে, বংশগতভাবে আমাদের উৎস হিন্দু ধর্ম। শ্রী রামচন্দ্রের থেকেই আমাদের উৎপত্তি।’
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালের প্রসঙ্গে টেনে আনেন ফৈয়জ। তিনি বলেন, ‘ইকবাল বুঝিয়েছিলেন প্রকৃত দৃষ্টি থাকলে বোঝা যাবে যে রামচন্দ্রই ভারতের আসল দেবতা।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের দিকেও তোপ দেগেছন এই মুসলিম যুবক। তাঁর অভিযোগ, রাম মন্দির তৈরিকে কেন্দ্র করে ভারতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর চক্রান্ত করছে পাকিস্তান৷
আরও পড়ুন: চিনের মাত্রাতিরিক্ত খবরদারি, পাল্টা দিতে ভারতে এলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তবে এই প্রথম নয়, দেশের বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য তিনি অন্তত ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন বলে জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের এই রামভক্ত যুবক। রাত কাটিয়েছেন বিভিন্ন মঠ, মন্দিরে। সব ধর্মের মূল মন্ত্রই যে আসলে শান্তিস্থাপন ও মানবসেবা। সেই শান্তিমন্ত্রেই মিলেমিশে যান হজরত মহম্মদ, শ্রীরাম সকলে। সেই সারমর্মই বুঝে গিয়েছেন ছত্তিশগড়ের অজ গ্রামের রামভক্ত এই মুসলিম যুবক।