সংক্রমণের আবহেই রাম জন্মভূমিতে পুজো যোগীর, মন্দির প্রস্তুতির তোড়জোড় দেখলেন সরেজমিনে
একেবারে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হবে অযোধ্যায়। যেখানে আবার বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেই মহাযজ্ঞের আগে শনিবার অযোধ্যা সফর করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। খতিয়ে দেখলেন ভূমি পুজোর প্রস্তুতি পর্ব।
- FB
- TW
- Linkdin
অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীকে, ঠিক তার ১০ দিন আগে অযোধ্যা সফরে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
শনিবার বিকেলে যোগীর সফরের জন্য যদিও কোন সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অগাস্টের ৫ তারিখের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতেই তিনি এদিন অযোধ্যা সফর করেন।
অযোধ্যা পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী রাম জন্মভূমিতে গিয়ে ভগবান শ্রী রামের পুজো করেন।
এরপরেই সাধুসন্তদের সঙ্গে ভুমিপুজো নিয়ে বৈঠক করেন যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যায় এমন মন্দির তৈরি হবে যা গোটা বিশ্ববাসী দেখবে, বৈঠকে বলেন যোগী।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথেও এদিন বৈঠক করেন। যোগী ভূমি পুজোন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন।
৫ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো করবেন। অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ভূমি পুজোর এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এদিন হনুমান গড়ে পৌঁছে সেখানেও ভগবান হনুমানের উপাসনা করেন।
রামজন্মভূমি চত্বরে ভূমিপূজনের সময় উপস্থিত থাকবেন দেড়শ থেকে ২০০ জন। সবরকম সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হবে।
১৯৮৮ সালে যখন প্রথমবার রামমন্দিরের ডিজাইন করা হয়, তখন তার উচ্চতা ছিল ১৪১ ফুট। পরে তা বাড়ানো হয়েছে ২০ ফুট। প্রথম ডিজাইনের সঙ্গে মন্দিরের দু’টি মণ্ডপও যুক্ত করা হয়েছে। ভূমিপূজনের পরে মন্দির তৈরি হতে তিন বছর লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভূমিপূজনের আগে ৩ দিন ধরে অযোধ্যায় বৈদিক মতে যাগযজ্ঞ হবে।
৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট দিয়ে মন্দিরের শিলান্যাস করবেন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র জানিয়েছে, অযোধ্যার নানা জায়গায় বসানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিন। তাতে সবাই ভূমি পূজনের অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন।
শোনা যাচ্ছে ভূমি পুজোর দিন দীপাবলির ঝলক দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশে। সবাই নিজের বাড়িতে প্রদীপ জ্বেলে উৎসব পালন করবেন। সরযু নদীর তীরে হবে বিশেষ আরতি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছুই ব্যক্তিগতভাবে হবে। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কোনও উৎসব পালন করা হবে না।
এদিকে ইতিমধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে দেশের ১১টি তীর্থক্ষেত্রের মাটি পাঠান হয়েছে অযোধ্যায়। ভূমিপুজোতে সেই মাটি ব্যবহার করা হবে।