বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি এটা শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ তৈরি করেনি, সরকারি অব্যবস্থার ছবিকেও আরও প্রকট করে দিয়েছে। এই বিষয়ে বলতে গিয়েই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির উপর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দেকে।
বিহারে একের পর এক বহু জায়গায় ক্রমাগত বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে দেখা গেল বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি এটা শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ তৈরি করেনি, সরকারি অব্যবস্থার ছবিকেও আরও প্রকট করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির উপর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দে(Milind Parande, central general secretary of the Vishwa Hindu Parishad) বলেছেন, “ধারাবাহিক বিস্ফোরণ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এনআইএ দ্বারা এর তদন্ত হওয়া উচিত।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত নয় মাসে বাঁকা, আরারিয়া, খাগরিয়া, সিওয়ান, দরভাঙ্গা, ভাগলপুর এবং এখন গোপালগঞ্জে অর্ধ ডজনেরও বেশি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ডজন ডজন মানুষ নিহত হয়েছে এবং বহু ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনায় জিহাদি সন্ত্রাস ও বাংলাদেশি সংযোগের গন্ধ পাচ্ছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। আর সেই কারণেই তারা এনআইএ-র তদন্ত চাইছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সীমারেখা বুঝুন’, নজরুল মঞ্চ থেকেই ফের সংবাদমাধ্যকে হুঁশিয়ারি মমতার
আরও পড়ুন- যুদ্ধ আবহে তরনী মোহনের লোক সঙ্গীতেই শান্তির বার্তা, নতুন গান নিয়ে জোর চর্চা সঙ্গীত মহলে
আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এই ২৯ মহীয়সীর, নারী দিবসেই নারী শক্তি পুরষ্কার রাষ্ট্রপতির
মিলিন্দ পারন্দের আরও দাবি গত কয়েক বছরে বহু বিস্ফোরণে রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেলেও পুলিশ প্রশাসন নিজেই ধামাচাপা দিয়েছে। ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণকে ছোট ঘটনা বলে চালানো হয়েছে। এমনকী বহু ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত রিপোর্টও তৈরি করা হয়নি। পারন্দের দাবি বিহারের অনেক জেলা ইতিমধ্যেই মুসলিম অধ্যুষিত হয়ে উঠেছে। আর সেই কারণেই নাকি বাড়ছে সমস্যা। প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ এবং পাকুর জেলাগুলি অনুপ্রবেশের সমস্যা থেকে বাদ পড়েনি। বিদেশি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ছাত্ররাও এখানে ব্যাপকভাবে বসবাস শুরু করেছে বলে দাবি তার। একইসঙ্গে লাভ জিহাদিরা ক্রমাগত হিন্দুদের, বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মেয়েদের উপর নির্যাতনের পরিমাণ বাড়িয়ে চলেছে। এই ধরণের কয়েক ডজন ঘটনার সাক্ষী থেকে বিহার। অনেক হিন্দু মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাংলাদেশ ও নেপালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকে মারাও গিয়েছে। আর এই কারণেই এই ধরণের ঘটনায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) এই তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বেসরকারি কলেজেও সরকারির খরচ, ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের