'নমো' কি তথ্য পাচার করে আমেরিকায়, উঠল প্রধানমন্ত্রী অ্যাপ-ও নিষিদ্ধের দাবি

তথ্য পাচার করে এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগেই নিষিদ্ধ হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ

এবার একই অভিযোগ উঠল খোদ নরেন্দ্র মোদী সরকারি অ্যাপ নমোর বিরুদ্ধেই

এই অ্যাপ থেকে তথ্য পাচার হয় আমেরিকায় এমনই অভিযোগ পৃথ্বীরাজ চভনের

করলেন অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার দাবিও

 

amartya lahiri | Published : Jun 30, 2020 3:34 PM IST

তথ্য পাচার করে এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এই অভিযোগ তুলেই মঙ্গলবার একটি-দুটি নয় একসঙ্গে ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। কিন্তু এবার একই অভিযোগ উঠল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন, 'নমো' অ্যাপ-এর বিরুদ্ধেই। চিনা অ্য়াপগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নামের আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত এই অ্যাপটিও নিষিদ্ধ করা উচিত বলে দাবি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চভন।

নমো অ্যাপের বিরুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চভন-এর অভিযোগ এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ভারতীয়দের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে। তাঁর দাবি এই অ্যাপে ব্যবহারকারীর অজান্তেই গোপনে সেটিংস পরিবর্তন করা হয়। তারপর ব্যবহারীর সব তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থার্ড পার্টি সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়ে। এইরকম গুরুতর অভিযোগ করে তিনি অ্যাপটি নিষেদ্ধ করার দাবি জানান।

তবে মোদী সরকারের ৫৯ টি চিনা অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগতি জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা টুইট করে বলেন, এইভাবে 'মোদী সরকার ১৩০ কোটি ভারতীয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করছে, এটা ভাল'। কিন্তু, এরপরি তিনি নমো অ্যাপ্লিকেশনকে আক্রমণ করা শুরু করেন। জানান, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অ্যাপটি গোপনে প্রাইভেসি সেটিংস বদলে দিয়ে ব্যবহারকারীর ২২টি বিষয়ের তথ্য জেনে নেয়। তারপরই তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থার্ড পার্টি সংস্থাগুলি পেয়ে যায় সেই তথ্য।

সোমবার ভারতে যে ৫৯টি চিনা অ্যাপ্লিকেশনকে নিষিদ্ধ করেছে, তারমধ্যে ভারতে দারুণ জনপ্রিয় টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানার-এর মতো অ্যাপ রয়েছে। কেন্দ্র বলেছে, এই অ্যাপগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার পরিপন্থী। বস্তুত এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সাইবার বিশেষজ্ঢরা সতর্ক করছিলেন। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তাক্ত সংঘর্ষের ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর এই বিষয়ে আর দ্বিধা করেনি মোদী সরকার।

Share this article
click me!