৩০ মে ঐতিহাসিক শপথ, তাঁর আগে মা-এর আশীর্বাদ পেলেন মোদী

  • শপথ নেওয়ার আগে মা-এর আশীর্বাদ পেলেন নরেন্দ্র মোদী 
  • রবিবার বিকালেই আহমেদাবাদে পৌঁছন মোদী 
  • সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন 
  • এরপর আহমেদাবাদে একটি জনসভায় ভাষণ দেন 

debojyoti AN | Published : May 27, 2019 6:03 AM IST

গুজরাট থেকেই তাঁর উত্থান। একজন আরএসএস এবং বিজেপি-র পুরো সময়ের দক্ষ কর্মী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন প্রশাসক হিসাবেও তিনি যে সম্ভাবনাময় সে সুযোগ পেয়েছিলেন এই গুজরাটের বুকেই। হয়েছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রীর তখত থেকেই এখন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে। ইতিহাসে নাম তুলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর পদে। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কড়ে গোনা যায় এমন কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের।  এমন এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থেকে মা হীরাবেন মোদীর কাছে আসার জন্য মন উচাটন ছিল নরেন্দ্র মোদীর। 

রবিবার দুপুরেই তিনি দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছন। সেখানে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে তিনি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। এরপর আহমেদাবাদে প্রদেশ বিজেপি-র দফতর এবং দলীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে হওয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দিতেই সন্ধে গড়িয়ে যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি যখন গান্ধীনগরে মা-এর বাড়িতে পৌঁছন তখন রাত নেমে গিয়েছে। দেশের ভাবী প্রধাানমন্ত্রী-কে দেখার জন্য রাস্তার দুই পাশেই বিকেশ থেকে লোকজন দাঁড়িয়ে ছিল। 

নরেন্দ্র মোদীর গাড়ির কনভয় এলাকায় ঢুকতেই বিজেপি নেতা-কর্মীরাা স্নোগান দিতে শুরু করেন। বাড়িতে ঢুকেই মা হীরাবেন-এর কাছে হাজির হয়ে যান নরেন্দ্র মোদী। মা-এর আদর গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে নানা হাসি-ঠাঠ্ঠায় মেতে ওঠেন তিনি। মা-এর পা ছুঁয়ে প্রণাম করনে। বিনিময়ে হীরাবেনও ছেলে-কে আশীর্বাদে ভরিয়ে দেন। এরপর মা-এর সঙ্গে কিছুক্ষণের কথা। হালকা করে জানিয়ে দেওয়া কীভাবে বারাণসী ছুঁয়ে তিনি ফিরে যাবেন দিল্লিতে। এমনকী, কবে তিনি শপথ নিচ্ছেন তাও মা-কে জানান। 

ছেলে যে আজ তাঁর সন্তান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তা ভেবেই নিতান্ত-ই আনন্দিত হীরাবেন। এমন ছেলের গরবিনী মা-হওয়ার সৌভাগ্য কেমন করে তিনি ছাড়তে পারেন। তাই বয়সের ভারে দৃষ্টিপথে সমস্যা হলেও ছেলে নরেন্দ্র-র জন্য তিনি যে গর্বিত তা বুঝিয়ে দিতে কসুর করেননি। আর নরেন্দ্র! তিনি তো মা-এর কাছে আসতে পেরে বেজায় খুশি। আসলে সাফল্যের পর মা-এর স্নেহ-তেই সন্তানের মন ঘোরাফেরা করে। নরেন্দ্র মোদী-ও যে এই অনুভূতি পাওয়ার ক্ষেত্রে আর দশটা-পাঁচটা মানুষের থেকে আলাদা নন তা তিনিও বুঝিয়ে দেন এদিন। 

Share this article
click me!