বিয়ে নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানারকম রীতিই প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু গুজরাটের এই গ্রামের নিয়মকে অদ্ভুত বললে খুবই কম বলা হয়। কারণ, গুজরাতের ছোট উদয়পুর জেলার তিন গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন না স্বয়ং বরই! বরের পরিবর্তে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন পালন করেন বরের বোন!
যুগ যুগ ধরে এইভাবেই এই গ্রামের মেয়েরা বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন বরের বোনের সঙ্গে। তবে বরের যদি বোন না থাকে তাহলে বিয়ের নিয়ম পালন করতে এগিয়ে আসেন গ্রামের যেকোনও অবিবাহিত মেয়ে। গুজরাটের ছোট উদয়পুর জেলার সানন্দা, সুরকেধা, অম্বল-এর গ্রামের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে বিবাহের এমন রীতিই চলে আসছে। কিন্তু কেন এই বিশ্বাস? মনে করা হয়, বিবাহের এই রীতি না মানলে নাকি সংসারে দেখা দিতে পারে চরম অশান্তি এবং নতুন বর-কনের দাম্পত্য জীবনও নাকি সুখের হয় না।
তবে একথা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, ওই মেয়ের সঙ্গেই সারা জীবন কাটাতে হবে। বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়া থেকে শুরু করে, বিয়ের যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান সেরে নতুন বউ নিয়ে ফেরা পর্যন্ত সব কাজ সামলে তবেই ছুটি হয় ওই তরুণীর। তবে এর নেপথ্যে এলাকার আদিবাসীদে একটা বিশ্বাস রয়েছে। ওইসব গ্রামের আরাধ্য দেবতা নাকি অবিবাহিত ছিলেন। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্রকে বিয়ের আসরে না নিয়ে এসে তাঁকে বাড়িতে রেখে দিয়ে এলে নাকি বিয়ে সুখের হয়। সেই দেবতাকে সম্মান জানাতেই চলে আসছে এই প্রথা। গ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরাও এই নিয়মে বিশেষ আপত্তি করেন না।