দেশ জুড়ে বাড়ছে বাল্যবিবাহের ঘটনা! দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ এনসিপিসিআরের

সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এনসিপিসিআর। ২৮শে এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি জেলায় বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক নানা প্রকল্প শেষ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। 

Parna Sengupta | Published : Apr 8, 2022 9:38 AM IST / Updated: Apr 08 2022, 03:30 PM IST

এনসিপিসিআর বা ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের সমীক্ষায় ভয়াবহ তথ্য। দেশ জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে বাল্যবিবাহের সংখ্যা। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভমুহুর্তে বাল্যবিবাহের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপিসিআর।  

শুক্রবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এনসিপিসিআর। ২৮শে এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি জেলায় বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক নানা প্রকল্প শেষ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

এনসিপিসিআর জানিয়েছে যে তেসরা মে সর্বাধিক বাল্যবিবাহ সংঘটিত হতে পারে। কারণ সেদিন সেইদিনটি অক্ষয় তৃতীয়া হিসাবে পালিত হয়। চাইল্ড প্রোটেকশন কমিশন জানিয়েছে "গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, শহরের ওয়ার্ড ও জেলা তহসিল স্তরে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালাতে হবে। শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক, ধর্মীয় পুরোহিতদের সাথে বাল্যবিবাহ রোধ সম্পর্কে নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যাতে দ্রুত তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়"। 

আরও পড়ুন-এ এক অন্য কাহিনি, মাতৃত্বের স্বাদ পেতে হাইকোর্টের বিচারকের দ্বারস্থ এক আসামীর স্ত্রী

আরও পড়ুন-প্রতিবাদের মাশুল দিতে হল পোশাক খুলে, মধ্যপ্রদেশের জেলে বিক্ষোভকারীদের অন্তর্বাস পরা ছবি ভাইরাল

আরও পড়ুন-অভিনব প্রতিবাদ, নবদম্পতিকে পেট্রল ডিজেলের ক্যান উপহার বন্ধুদের

এদিন চিঠিতে এক নির্দেশে পারিবারিক কাউন্সেলিং এবং সঠিক তদন্তের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আধিকারিকদের তাদের জেলায় পরিচালিত এসব প্রোগ্রামের রিপোর্ট ২১ এপ্রিলের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। 

স্কুল ড্রপ আউট বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে, NCPCR একটি স্কুল-ভিত্তিক তালিকা তৈরি করতে বলেছে যেখানে পড়ুয়ারা স্কুলের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষককে না জানিয়েই ক্লাসে আসছে না। উল্লেখ্য, বিশ্বের একাধিক দেশেই বাল্য বিবাহ বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছ। কিন্তু তারপরেই বন্ধ করা যায়নি এই প্রাচীন প্রথাটি। ২০২০ সালে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ১৮ বছর হওয়ার আগেই প্রায় ২৯ শতাংশ মহিলার বিয়ে হয়ে যায়। এই এলাকার মহিলাদের বিয়ের গড় বয়স ২০-২৪। 

বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ মহিলারই ১৮ আগে বিয়ে হয়ে যায় বলেও রিপোর্ট অনুমান করা হয়েছে। বিশ্বের প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে ভারতের একটি শিশুর বিয়ে হয় ১৮র আগে। ছেলেদের তুলনায় বাল্যবিবাহের হার মেয়েদের মধ্যেই বেশি। তারই প্রভাব পড়ছে মেয়েটির শরীর আর তাঁর সন্তানের ওপর। বন্ধ হয়ে যায় পড়শুনাও।

Share this article
click me!