সংক্ষিপ্ত
মধ্যপ্রদেশে প্রতিবাদীদের পাকড়াও করে জেলের মধ্যে পোশাক খুলিয়ে অন্তর্বাস পরে থাকতে বাধ্য করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
মধ্যপ্রদেশে প্রতিবাদীদের পাকড়াও করে জেলের মধ্যে পোশাক খুলিয়ে অন্তর্বাস পরে থাকতে বাধ্য করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও এই ঘটনায় দুই পুলিশ অফিসারের বদলি করানো হয়েছে। তবে মোটেই পুরো বিবস্ত্র নয়। প্রতিবাদের ঠেলায় আন্ডারওয়ার পরেই জেলের মধ্যে জায়গা হল বিক্ষোভকারীদের। এদিকে এই প্রতিবাদীর সঙ্গে একজন সাংবাদিককেও তুলে এনেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তবে মোটেই ভাববেন না, মুন্নাভাই এমবিবিএস-র র ্যাগিং-র সেট নাকি এটা। মোটেই কেউ সিনিয়রদের পাল্লায় পড়ে অন্তবার্স পড়ে ডোলা রে গানে নাচ করছেন না। তবে অধিকাংশ যুবকেরই ততক্ষণে লজ্জায় কান লাল হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে এমন কমেডির শিকার হতে হবে, তা বোধয় আগে বুঝতে পারেননি কেউই। তবে এার হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন যুবকের দল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই ছবি ভাইরাল।
মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় একজন শিল্পীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলেই প্রতিবাদীদের আটক করে পুলিশ। এদিকে প্রতিবাদীর সঙ্গে আটক করা হয় একজন সাংবাদিককেও। আটক হওয়ার পরেও ভাবতে পারেননি প্রতিবাদী যুবকের দল, যে কপালে কী রয়েছে। এরপরেই ওই প্রতিবাদী যুবকদের জামা-কাপড় খুলিয়ে শুধুই আন্ডারওয়ার পরে থাকতে বাধ্য করল। এদিকে প্রতিবাদী যুবকদের সেই করুণ ছবি ইতিমধ্য়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা পড়েছে এবং ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। তবে এহেন কাণ্ডে মোটেই গর্বিত নয় মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। বরং এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়ে লোকাল থানার দুই পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন শীর্ষ কর্তা।
ঘটনার শুরু পয়লা এপ্রিলের ঠিক পর দিন। ২ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দ্রাবতী ড্রামা স্কুলের ডিরেক্টর নীরজ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদার নাথ শুক্লা এবং তার পুত্র গুরদত্ত শরণ শুক্লার বিরুদ্ধে ফেক প্রোফাইল থেকে মানহানিকর পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ইনচার্জ মনোজ সোনি। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
একজন স্থানীয় সাংবাদিক এবং কিছু যুবক এই ঘটনায় সোজা কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশনের সামনেই তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আর এই প্রতিবাদী যুবকদের সঙ্গে থাকে একজন ইউটিউব জার্নালিস্টও। ব্যস আর কী, তারপরেই মাশুল গুণতে হয় প্রতিবাদীর। কোতয়ালি থানার ইনচার্জ মনোজ সোনি আরও জানিয়েছে, মূলত প্রতিবাদ অভিযানের কোনও সূচি নিয়ে আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া ছিল না। এবং এলাকার শান্তি ভঙ্গ করাতেই তাঁদের আটক করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।