১০ হাজার ফিট উপরে বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল, আজ মোদীর হাত ধরে ইতিহাস লিখতে চলেছে অটল টানেল
বিশ্বের বুকে এক নজর গড়েছে অটল টানেল
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোতে ভারতের নাম রয়েছে
কয়েক শ'বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থাপত্য ও কলা তাক লাগিয়েছে
অটল টানেলও এমনই এক নির্দশন হতে চলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে
Bangla SiteAdmin | Published : Oct 3, 2020 1:39 AM IST / Updated: Oct 03 2020, 07:56 AM IST
দশ হাজার ফুট উচ্চতায় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলের নাম এখন অটল টানেল। সন্দেহ নেই অটল টানেলের এমন তকমা তাকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রেও স্থান করে দেবে। এছাড়াও, অটল টানেলের রয়েছে আরও বৈশিষ্ট্য, যা একনজরে দেখে নেওয়া যাক-
অটল টানেলের দুই মুখ- একটা নর্থ পোর্টাল, অন্যটা সাউথ পোর্টাল
মানালি থেকে অটল টানেলে পৌঁছতে সাউথ পোর্টাল-এই আসতে হবে
মানালি থেকে সাউথ পোর্টালের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার
অটল টানেল অনেকটা অশ্বের ক্ষুরের আকৃতিতে তৈরি হয়েছে
অটল টানেলের দৈর্ঘ্য ৯.০২ কিলোমিটার
সুড়ঙ্গের ভিতরে দুই লেনের রাস্তা, এছাড়াও দুই দিকে রয়েছে ফুটপাত
সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা ফুটপাতগুলি একটা দিকে চওড়ায় ৮ মিটার, অন্যদিকে ১ মিটার
সুড়ঙ্গের ভিতরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার
টানেলে সারা দিনে ৩০০০ গাড়ি এবং ১৫০০ ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে
সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা-কে ঠিক রাখার জন্য সেমি-ট্রান্সভার্স প্রযুক্তি-কে কাজে লাগানো হয়েছে
এছাড়াও SCADA নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতরে কোনও অগ্নিসংযোগ বা অন্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণের জন্য
সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ১৫০ মিটার অন্তর টেলিফোন রাখা রয়েছে এমার্জেন্সি কলের জন্য
গোটা টানেল জুড়ে রয়েছে অগ্নিনির্বাপনের জন্য জলের পাইপ লাইন
অগ্নিনির্বাপনে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল দেওয়ার জন্য প্রতি ৬০ মিটার অন্তর ফায়ার হাইড্র্যান্ট পাম্প বসানো হয়েছে
সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ২৫০ মিটার অন্তর রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা
বাতাসের মান যাচাই-এর জন্য ১ কিলোমিটার অন্তর মনিটরিং যন্ত্র বসানো হয়েছে
২৫ মিটার অন্তর ইভাকুয়েশন বা এক্সিট গেট রাখা হয়েছে
আগুনের সম্ভাবনাকে নজরদারি করার জন্য প্রতি ৫০ মিটার অন্তর ফায়ার রেটেড ড্যাম্পার বসানো হয়েছে
এছাড়াও প্রতি ৬০ মিটার অন্ত ক্যামেরাও বসানো হয়েছে সমস্ত কিছুকে নজরদারি করার জন্য
মূল টানেলের নিচে রয়েছে একটি ছোট্ট টানেল, যেখানে একটি মাত্র গাড়ি একটা সিঙ্গল লাইনে যাবে
এই ছোট টানেলটি তৈরি হয়েছে এমার্জেন্সি এক্সিটের জন্য
টানেলের ভিতরে কোনও কারণে সেই আটকে গেলে এই এক্সিট টানেল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবে
মূল টানেলের নিচে থাকা ছোট্ট টানেলে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই এক্সিট গেট রয়েছে
এই এক্সিট গেটে লিফট এবং সিড়ি রাখা রয়েছে, সেখান দিয়ে ছোট টানেলে ঢুকতে হবে
কেউ যদি মূল টানেলের বিভ্রাটের অংশটি ছেড়ে কিছুদূরে গিয়ে ফের মূল টানেলে ফিরতে চায়, তাহলে ছোট টানেলের নামার রাস্তা ধরে সে উঠে যেতে পারবে
সুড়ঙ্গের ভিতরে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম যাতে কাজ করে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে
রোটাং পাসে এই এই টানেল তৈরির পরিকল্পনা স্বাধীনতার পর পর চিন্তায় আনা হলেও তা কার্যকর হতে শুরু করে নব্বই-এর দশক থেকে। ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় শাসনকালে এই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। এরপর নানাভাবে এই কাজ আটকে থাকলেও অবশেষে ২০২০ সালে টানেলকে খুলে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।