নিট পরীক্ষা, নেট পরীক্ষা, প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারি, সিবিআই,NET Exam, NEET Exam, Question Paper Leak Scam, CBI,
NEET-UG পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে স্কুল শিক্ষকরা যে জড়িয়ে রয়েছে। আগেই মহারাষ্ট্র থেকে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেল স্কুলের প্রধান ও সহ প্রধান শিক্ষকরের। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রধান শিক্ষক ও সরকারী প্রধান শিক্ষককে।
শুক্রবার ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে জ়ড়িত সন্দেহে সিবিআই ঝাড়খণ্ডের ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ এহসানুল হক ও ভাইস প্রিন্সিপাল ইমতিয়াজ আলমকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান শিক্ষক এহসানুল হক NEET-UG পরীক্ষার সমন্বয়কারী ছিলেন। গ্রেফতারের পর ধৃতদের হাজারিবাগ তেকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এই জেলারই পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিবিআই এই বিষয়টির সাথে ওসিস স্কুলের অধ্যক্ষ, ভাইস প্রিন্সিপাল এবং আরও কয়েকজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার একদিন পরে দুই জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পাটনা থেকে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মণীষ কুমার ও আশুতোষ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়এছে। যারা আগেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে যুক্ত ছিল। দুজনে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তারা কী করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিলি করেছিল তা জানিয়েছে। একজন পরীক্ষার্থীদের সেফহাউসে নিয়ে গিয়ে সাহায্য করেছিল। অন্য জন সেফ হাউসের ব্যবস্থা করেছিল।
বিজেন্দর গুপ্তা ২০২৩ সালে ওড়িশার স্টাফ সিলেকশন কমিশনের প্রশ্নফাঁস , বিহার ও মধ্যপ্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। গত ২৪ বছর ধরে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত সে। বিজেন্দর দাবি করেছে এই ব্যবসায় নেটওয়ার্কই হল আসল। বিজেন্দর বলেছে, NEET-UGতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের লক্ষ্য ছিল পরীক্ষা মাফিয়াদের টার্গেট করা ৭০০ জন পড়ুয়া। যদিও দেশের প্রায় ২৪ লক্ষ পড়ুয়া এই পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষা মাফিয়াদের উদ্দেশ্য ছিল ২০০-৩০০ কোটি টাকা আয় করা। বিজেন্দর বলেছেন, প্রশ্ন ছাপার টেন্ডার মূলত পেত কালো-তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলি। প্রশ্ন পাঠানর সময়ই বাক্স ভাঙা হয়। আর সেখান থেকে প্রশ্ন বার করে নেওয়া হয়। NEET-UG প্রশ্নফাঁসে মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব মুখিয়াকেও সে চেনে। বর্তমানে সঞ্জীব পলাতক। গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাল চৌরাসিয়াকে। গুপ্তা বলেছে, পরীক্ষা মাফিয়াদের স্লোগানই হল, 'জেল বেল আবার খেল'।