দুবাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী কাছে টাকার ব্যাগ পৌঁছায়। আর তিরুঅনন্তপুরমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল বিরিয়ারির কৌটো ভর্তি সোনা। এ দাবি যদিও অস্বীকার করেছেন বিজয়। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে তাঁর নাম কুৎসা রটানো হচ্ছে।
সোনা পাচার কেলেঙ্কারিতে নতুন মোড়। অন্যতম এক অভযুক্তের জবানন্দিতে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পিনারাই বিজয়নের কাছেরও টাকা ও সানো পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। দুবাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী কাছে টাকার ব্যাগ পৌঁছায়। আর তিরুঅনন্তপুরমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল বিরিয়ারির কৌটো ভর্তি সোনা। এ দাবি যদিও অস্বীকার করেছেন বিজয়। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে তাঁর নাম কুৎসা রটানো হচ্ছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন পত্রপাঠ বিবৃতিতে লেখেন, এটা রাজনৈতির চিত্রনাট্যের অঙ্গ। ওই চিত্রনাট্য মানুষের দরবারে এক বার খারিজ হয়েছে। স্বল্প বিরতির পরে এখন আর এক অভিযুক্তের বয়ানে একই কথা বলানো হয়েছে। অর্থনৈতিক অরাধের শিকড় খুঁজে বের করা ও সত্য উদধাটনের পথে যারা আপস না করার অবস্থান নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে বারে বারে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনটাই বলেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের আরও এক বর্ষীয়ান নেতা রমেশ চেন্নিতালার মন্তব্য করেন, আমার আগেই বলেছি, বিজয়নই সোনা কাণ্ডের পান্ডা। আশা করি বিচার সম্পূর্ণ হবে। তেমনই সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনের পাল্টা মন্তব্য, বিরিয়ারি কৌটৌয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সোনা যাচ্ছে- এটি অভাবনীয় অভিযোগ।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে সোনা ভর্তি ব্যাগ ধরা পড়ার পরেই সামনে এসেছে পাচার কাণ্ড। সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ধরা পড়েন। তিনি দুবাইয়ে ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করতেন। তাঁকে গ্রেফতার করার পরই ঘটনার তদন্তের শুরু হয়। তদন্ত করতে করতে ধরা পড়ের কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সচিব এম শিবশঙ্কর। এই তদন্তে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। ঘটনার সঙ্গে বিজয়নের নাম যোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে এক সময় অভিযোগ করেছিলেন শিবশঙ্কর। তার পরেও গত বছর বিধানসভা ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন বিজয়ন। এর পরই একে একে উঠে এসেছে তথ্য। অভিযোগ উঠেছে বিরিয়ানির কৌটো ভরে সোনা, ব্যাগভর্তি টাকা গিয়েছিল বিজয়নের কাছে। কোচির একটি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন স্বপ্না। স্বপ্নার অভিযোগ, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়ন যখন আরব আমিরশাহি সফরে ছিলেন, সেই সময় দুবাইয়ের দূতাবাসের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন শিবশঙ্কর। দূতাবাসের প্রোটোকল মেনে সেই ব্যাগ স্ক্যান করতে গিয়ে টাকা পাওয়া যায়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাস ক্লিফ হাইসে বিরিয়ানির কৌটোয় সোনা পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন- রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মোট ৯ ধারায় মামলা দায়ের, হিংসামূলক উসকানি -সহ আরও কী বিষয়ে অভিযোগ