নিয়মের বেড়াজালে অধিক সিম কার্ডের মালিকের যেমন হতে পারে মোটা টাকা জরিমানা, তেমনই হতে পারে দীর্ঘ দিনের জেলের সাজাও।
ইচ্ছেমতো মোবাইলের সিম বদল, অথবা একই পরিচয়পত্র দিয়ে প্রচুর সিম কার্ড কেনার জমানা শেষ। জালিয়াতি রোখার উদ্দেশ্যে এবার ভারতে সিম কার্ডের জন্য নয়া নিয়ম চালু করল ভারত সরকার। এই নিয়মের বেড়াজালে অধিক সিম কার্ডের মালিকের যেমন হতে পারে মোটা টাকা জরিমানা, তেমনই হতে পারে দীর্ঘ দিনের জেলের সাজাও।
-
এবার থেকে ভারতে বদলে যাচ্ছে সিম কার্ড বিক্রির নিয়ম। একটা পরিচয়পত্র দিয়ে কতগুলি সিম কার্ড নেওয়া যাবে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যদি নতুন সিম কার্ড কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্যেও ধার্য হবে এই নিয়ম। বর্তমানে, আধার কার্ডের জেরক্স, অনলাইনে হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া, ছবি তোলা, ইত্যাদি প্রক্রিয়ার পর পাওয়া যায় নতুন সিম কার্ড। সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
-
জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড নিলে বা নিয়ম লঙ্ঘন করে তা বিক্রি করলে মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। সেই টাকার অঙ্কটি হল, দশ লক্ষ। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে তিন বছরের জেল হওয়ার সাজাও। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর করার কথা ছিল। এরপরও অতিরিক্ত ২ মাস সময় দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। এই নিয়মের অধীনে একসঙ্গে একাধিক সিম কার্ড ইস্যু করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু কোম্পানি কর্মীদের জন্য একসঙ্গে অনেক সিম কার্ড নিয়ে থাকেন। তাদের জন্যও থাকছে একই নিয়ম। শুধু তাই নয়, একটি আইডিতে সীমিত সংখ্যক সিম কার্ডই ইস্যু করা হবে। যে কেউ আর সিম কার্ড ইস্যুও করতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত সিম বিক্রেতা অর্থাৎ পয়েন্ট অফ সেল রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম না মানলে হবে কড়া শাস্তি।
-
সিম কার্ড বিক্রেতারাও যথাযথ যাচাই-বাছাই ও তদন্ত ছাড়াই নতুন সিম কার্ড ইস্যু করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল। জালিয়াতির বাড়বাড়ন্ত রুখতে সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি কোনও ব্যক্তিকে জাল সিম কার্ড বিক্রি করতে দেখা যায়, তাহলে তাঁর ৩ বছরের জেল হতে পারে। এছাড়া তাঁর লাইসেন্সও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০ লাখ সিম কার্ড বিক্রেতা রয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রচুর পরিমাণে সিম কার্ড ইস্যু করে। তা আর করা যাবে না।
ফোন নম্বর জাল করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম পাকড়াও করতে বা রুখে দিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চালু হচ্ছে এই বিশেষ উদ্যোগ। টেলিকম দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, ভারতে সাইবার প্রতারণা ও সিম জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ দমন করতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।