প্রথমে ৬০ জন ছাত্রীর কাছ থেকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ পেয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
স্কুলের মধ্যেই যৌন হেনস্থা করছেন খোদ প্রিন্সিপাল, এমনই অভিযোগ তুলেছিল ছাত্রীরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। দেখা যায় মোট ৬০ জন ছাত্রী একই অভিযোগ তুলেছেন। তখনই ৪ নভেম্বর তারিখে হরিয়ানার জিন্দ জেলার সরকারি স্কুলের ওই প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদ বাড়তে থাকলে দেখা যায়, সংখ্যাটা ষাটেই শেষ নয়, বরং আরও বড়। তখনই টনক নড়ে পুলিশ কর্তাদের। দেখা যায়, একটি স্কুলের মোট ১৪২ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন এক জনই ব্যক্তি, তিনি হলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল।
-
জিন্দের জেলা প্রশাসক মহম্মদ ইমরান রাজা জানিয়েছেন যে, একটি মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সামনে কম করেও ১৪২ জন ছাত্রী ওই সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ৫৬ বছর বয়সি কর্তার সিং-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “কমিটি প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং তাঁকে প্রাথমিকভাবে দোষী বলে মনে করছে। কমিটি নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৩৯০ জন ছাত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এর মধ্যে ১৪২ জন শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।”
-
‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কমিটি’র তদন্তে জানা গিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সি ওই প্রিন্সিপাল কর্তার সিং-এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ জমা পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত হরিয়ানার মহিলা কমিশনের তৎপরতায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১৪২ ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হরিয়ানার মহিলা কমিশনের প্রধান রেনু ভাটিয়া। যদিও মাস দেড়েক বাদে ৩০ অক্টোবর প্রিন্সিপালকে বরখাস্ত করে শিক্ষ দপ্তর। অন্যদিকে গত ৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।