সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানি পর্বের শুরুতেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ খতিয়ে দেখে মুখবন্ধ খামে জমা পড়া স্টেটাস রিপোর্ট।
৮ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে।
দেশের শীর্ষ আদালতে সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সোমবার বলেন, "সকাল সাড়ে ৯টার সময় দেহ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, দেহ যখন পাওয়া গিয়েছিল, তখন তা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। তাঁর দেহে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ওই সব নমুনা এমস বা অন্য কোনও ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।"
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানি পর্বের শুরুতেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ খতিয়ে দেখে মুখবন্ধ খামে জমা পড়া স্টেটাস রিপোর্ট। শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল সিবিআই-কে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নতুন স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআই-কে তাঁদের লিড নিয়ে তদন্তে এগিয়ে যেতে দেওয়া হোক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর।
আরজি কর কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টেটাস রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য সুপ্রিম কোর্টে প্রবীণ কৌঁসুলি কপিল সিবাল তুলে ধরেন। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং নমুনার পুনরায় পরীক্ষার দাবি তদন্তের গতি পরিবর্তন করতে পারে।
সুপ্রীম কোর্টে সোমবার সিবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেছে। আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্তদের ফরেনসিক নমুনাগুলি পুনরায় পরীক্ষার জন্য এইএমসে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সামনে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আরজি করের মৃত্যুর সার্টিফিকেট রাত ১টা ৪৭ মিনিটে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর লিপিবদ্ধ হয় দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে। তদন্তের প্রতি রাজ্যের উদাসীনতা এবং ময়নাতদন্তের তড়িঘড়ি করার বিষয়েও সিবিআই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সলিসিটর জেনারেল মেহতা জানান, কলকাতা পুলিশ মাত্র ২৭ মিনিটের ময়নাতদন্তের ফুটেজ সরবরাহ করেছে। ফরেনসিক তথ্য নিয়েও তিনি অসন্তুষ্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।