দেশের অন্যতম এলিট তদন্তকারী সংস্থা ধরা হয় এনআইএ বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আর সেই সংস্থারই তিন অফিসারকে সরিয়ে দিতে হল ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে। ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন মামলা, যে মামলায় মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে অর্থ জোগানোর অভিযোগ রয়েছে, সেই মামলাতেই দিল্লির এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দিল্লির নয়ডা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী নিজেই একমাস আগে এনআইএ-র কাছেই ওই তিন তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁর বক্তব্য তাঁকে ২ কোটি টাকা ঘুষের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। নাহলে সন্ত্রাসবাদে অর্থ মদতের মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্ত তিন অফিসারই কিন্তু অতীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিন অফিসারের একজন এসপি। তিনি সমঝোতা এক্সপ্রেস এবং আজমীর শরিফে সন্ত্রাসবাদী হামলা র মামলা তদন্তে জড়িত ছিলেন। বাকি দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর। এঁরা ছাড়াও এই মামলায় একজন আঙুলের ছাপ বিশেষজ্ঞও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন - সন্ত্রাস রুখতে অমিতের নয়া দাওয়াই! প্রতিবাদে উত্তাল লোকসভা, তবু পাশ এনআইএ বিল
আরো পড়ুন - ফের বিশ্বকে ধোকা পাকিস্তানের! পিঠ বাঁচাতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর
এরপরই তড়িঘড়ি এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল সংস্থার ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ওই অফিসারদের ট্রান্সফারের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে এই অভিযোগের ভিত্তিতে একজন ডিআইজি স্তরের অফিসারকে দিয়ে তদন্তও শুরু করা হয়েছে। এনআইএ-র একজন পদস্থ কর্তার দাবি, তদন্তকারী সংস্থা এই অভিযোগকে মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছে না। এই ঘটনাকে চেপে যাওয়ারও কোনও চেষ্টা হচ্ছে না।