সংক্ষিপ্ত
- লোকসভায় পাশ হল এনআইএ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৯
- আর তাই নিয়েই সোমবার উত্তাল হল লোকসভা
- বিরোধীদের অভিযোগ, বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করতে এই সংশোধনীর অপব্যবহার করা হবে
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় পরিচয় দেখা হবে না
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির হাত আরও শক্ত করার লক্ষ্যে লোকসভায় পাশ হল এনআইএ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল - ২০১৯। তবে সংশোধনীটি পাশ হওয়ার আগে, সোমবার, এই বিলের অসদ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে উত্তাল হয় লোকসভা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ান বিরোধী সাংসদরা।
২০০৯ সালে মুম্বই হামলার পর সন্ত্রাসবাদ রুখতে জাতীয় স্তরের এই তদন্তকারী সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। এদিন ২০০৮ সালের সেই বিলটিরই সংশোধনী আনা হল। ফলে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সঙ্গে এনআই-এর হাতে এখন মানব পাচার, নোট জাল করা, বেআইনি অস্ত্র তৈরি ও বিক্রয় করা, সাইবার সন্ত্রাস, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক পদার্থ রাখার আইনের আওতায় হওয়া অপরাধের তদন্ত করার ক্ষমতা পেল। সেই সঙ্গে প্রতি রাজ্যে একটি করে এনআইএ-এর তদন্তাধীন মামলার শুনানির জন্য বিশেষ আদালত গড়ে তোলা হবে।
তবে এই সংশোধনী আসার আগে থেকেই বিরোধিরা এই সংশোধনীর বিরোধিতা করে আসছিল। এর আগে অপব্যবহারের অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী 'পোটা' আইন বাতিল করেছিল ইউপিএ সরকার। নরেন্দ্র মোদী সরকার এক বিশেষ সম্ম্প্রদায়কে নিশানা করতে এই সংশোধনী বিলটিরও অপব্যবহার করবে বলে দাবি করেন বিরোধী সাংসদরা।
তবে বিলটি পেশের আগে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানান, মোদী সরকারের সেই রকম কোনও উদ্দেশ্য নেই। তাদের সরকারে একমাত্র লক্ষ্য সমন্ত্রাসবাদকে খতম করা। অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তাঁর ধর্মীয় পরিয়চয় দেখা হবে না বলেই দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে 'পোটা' আইন বাতিল নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তাঁরক অভিয়োগ অপব্যবহার রুখতে নয়, ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল ইউপিএ সরকার।