'পুরি-সবজি-কচুরি', শেষ ইচ্ছায় আর কী চাইল নির্ভয়াকাণ্ডের আসামিরা

শুক্রবার সকালে ফাঁসি হয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের চার দণ্ডিত আসামির

ফাঁসির আগে শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়

অন্যতম আসামি বিনয়ের মা পুরি-সবজি-কচুরি খাওয়াতে চেয়েছিলেন

আর কি ইচ্ছা প্রকাশ করল তারা

 

গত কয়েকবছরে তাঁর নাম হারিয়ে গিয়েছে। 'নির্ভয়া ধর্ষকের মা'-এর কলঙ্ক জুড়েছে পরিচয়ে। বৃহস্পতিবার তাঁর ছেলে বিনয়-সহ বাকি তিন আসামির ফাঁসি হওয়ার একদিন আগে তাঁর কাতর প্রশ্ন ছিল, তিনি কি তাঁর ছেলেকে ছেলের প্রিয় 'পুরি, সবজী, কচুরি' খাওয়াতে পারবেন? শেষ ইচ্ছা বলতে নির্ভয়াকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তরফ থেকে ছিল এইটুকুই। এছাড়া, নির্ভয়াকাণ্ডের চার দণ্ডিত আসামির একজনও ব্যক্তিগতভাবে কোনও শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। এমনকী তাদের মৃত্যুর পর তাদের সম্পত্তি কে পাবে সেই নিয়েও কোনও ইচ্ছাপত্র তৈরি করে যায়নি তারা।   

আরও পড়ুন - পৈশাচিক অত্যাচারের একমাত্র সাক্ষী, কেমন আছেন নির্ভয়ার সেই পুরুষ বন্ধু

Latest Videos

শুধু বৃহস্পতিবার তিহার জেল চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে আসামি বিনয় শর্মার মা বলসেছিলেন, তিহার জেল কর্মীরা তাঁকে কখনই কোনও খাবার বা অন্য কোনও কিছু বিনয়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তবে তারা যদি অনুমতি দেয় তিনি ছেলের জন্য শেষ একবার কিছু 'পুরি', 'সবজি' এবং 'কচুরি' নিয়ে আসতে চান, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুমতি জেল কর্তৃপক্ষ দিয়েওছিল। কিন্তু সেই খাবার আর মুখে তুলতে পারেনি বিনয়। বস্তুত, ফাঁসি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে এমনই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল চারজনেই, যে গত ১২-১৪ ঘন্টায় কেউই কোনও খাবার মুখে তুলতে পারেননি।

আরও পড়ুন - ফাঁসির আগের রাতে কেঁদে ভাসাল চার নরপিশাচ, শোনানো হল গীতা

এদিন ফাঁসির পর তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চার আসামিকেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তারা কাউকে কোনও সম্পত্তি দিয়ে যেতে চায় কিনা, কোনও ইচ্ছাপত্র তৈরি করতে চায় কিনা। কেউই সেই বিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। বস্তুত, তার আগে অবধি তারা আশায় ছিল, য়ে এইবারও ফাঁসি কোনওভাবে স্থগিত হয়ে যাবে। কিন্তু, শে, ইচ্ছা ও ইচ্ছাপত্রের কথা জিজ্ঞেস করতেই মৃত্যুভয় তাদের মনে জাঁকিয়ে বসে।

আরও পড়ুন - 'এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে', নির্ভয়াকে প্রথম দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন ডাক্তারও

কারাগারের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, জেলে থাকাকালীন চার আসামিই বেশ কিছু অর্থ উপার্জন করেছে। যেহেতু তারা কোনও ইচ্ছাপত্র করেনি, তাই এই অর্থ এখন তাদের নিজ নিজ পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পোশাক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন - ভাঙল দাদু কালুরাম-এর রেকর্ড, নির্ভয়াকে ন্যায়বিচার দিয়ে কী বলছেন পবন জল্লাদ

৩২ বছরের মুকেশ সিং, ২৫ বছরের পবন গুপ্তা, ২৬ বছরের বিনয় শর্মা এবং ৩১ বছরের অক্ষয় কুমার সিং-কে এদিন ভোর সাড়ে ৫ টায় দিল্লির তিহার কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আরেক আসামি রাম সিং এর আগে কারাগারেই আত্মহত্য়া করেছিলেন। আর আরেক আসামি নাবালক বলে তাঁর বিচার হয়েছে নাবালক আইনে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News