কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন ইকোনামিক গাড়ি নির্মাতাদের যুক্তি এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়ানো গাড়ির দামকে অনেকটাই প্রভাবিত করে- তা প্রতারণামূলক। তিনি আরও বলেন, একটি গাড়িতে একটি এয়ারব্যাগ বাড়ানোর খরচ মাত্র ৯০০ টাকার মত হতে পারে
'একই কোম্পানি যখন বিজেশে রফতানির জন্য গাড়ি তৈরি করে তখন তাতে ৬টি এয়ারব্যাগ রাখে। কিন্তু যখন তারা স্থানীয়দের জন্য সেই গাড়ি তৈরি করে তখন তাতে থাকে মাত্র ৪টি এয়ারব্যাগ।' তারপরই তিনি প্রশ্ন করেন 'গরীবদের জীবন কি রক্ষা পাওয়ার যোগ্য নয়?'সোমবার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশনের (আইএএ) একটি ইভেন্টের সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন দেশের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন ইকোনামিক গাড়ি নির্মাতাদের যুক্তি এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়ানো গাড়ির দামকে অনেকটাই প্রভাবিত করে- তা প্রতারণামূলক। তিনি আরও বলেন, একটি গাড়িতে একটি এয়ারব্যাগ বাড়ানোর খরচ মাত্র ৯০০ টাকার মত হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন , গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ যাতে থাকে এই প্রক্রিয়া বাধ্যাতামূলক ভাবে চালু করার বিষয় আলোচনা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেছেন আমেদাবাদ-মুম্বই হাইওয়েটে ট্রাফিকের সংখ্যা খুব বেশি। এই হাইওয়েটি রীতিমত বিপজ্জনক। নীতিন গডকরি আরও বলেছেন, সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি যে রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেই রাস্তাটি তিনি মহারাষ্ট্র পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী থাকার সময়ই তৈরি হয়েছিল।
পথদুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গডকরি বলেন, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সড়ক নেটওয়ার্ক। কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত অনেক কাজই বাকি রয়েছে। প্রতি বছর এই দেশে ৫ লক্ষ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের। ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃতের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষই ১৮-৩৪ বছর বয়সী।
তিনি আরও বলেছেন ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চান। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে এবং সড়ক নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা অনুসরণে কোনো আপস করা হবে না। "জীবন বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ," কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন যে কর্মকর্তারা রাস্তায় যানজট কম করার জন্য উদ্ভাবনী উপায় নিয়ে আলোচনা করছেন।