মদ নিষিদ্ধ হাওয়া সত্বেও কেন বিহারের আনাচে কানাচে চলছে এমন অনৈতিক মদের ব্যবসা ? প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলতেই ফোঁস করে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিতে গিয়ে জোট শরিকদের 'মাতাল' বলে বসলেন তিনি।
প্রদীপের তলাতেই থাকে সবচেয়ে বেশি অন্ধকার। এই উদাহরণ একদম প্রযোজ্য বর্তমান বিহারের পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য। খাতায় কলমে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিষমদ পান করে মারা যাওয়ার ঘটনা আকছার ঘটেছে বিহারে। মদ নিষিদ্ধ হাওয়া সত্বেও কেন বিহারের আনাচে কানাচে চলছে এমন অনৈতিক মদের ব্যবসা ? প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলতেই ফোঁস করে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিতে গিয়ে জোট শরিকদের 'মাতাল' বলে বসলেন তিনি।
২০১৬ সালে বিহারে মদবিক্রি নিষিদ্ধ করে দেন নীতীশ। রাজ্যকে নেশামুক্ত করে তোলাই নাকি ছিল তার উদ্দেশ্য। কিন্তু আদতে ঘটে তার বিপরীতটাই। নিষেধাজ্ঞার কড়া নজরদারির আড়ালেই চলতে থাকে চোরা মদের কালোবাজারি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কৌশলে নীতীশকে খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ সিংহ। নীতীশের মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বিহারে মদ হল ঈশ্বরের মতো, সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু চোখে দেখতে পাবেন না!’’
ছপরায় বিষমদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বেশ কয়েক দিন আগেই। বিযমদ খেয়ে সারন জেলার ইসুয়াপুর থানার দোলিয়া গ্রাম এবং মাশরক থানার ইয়াদু মোড়ে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত আরও ২০ জনের।নিষেধাজ্ঞা জারি হাওয়া সত্বেও কেন মরতে হচ্ছে এমন বিহারবাসীকে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ