এখানে রাত জেগে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখানে ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করে চলেছেন সবাই।
পুনের ন্য়াশানাল ইনস্টিট্য়ুট অব ভাইরোলজিতে সত্য়িই এখন ২৪ ঘণ্টার ব্য়স্ততা। কাউর চোখে কার্যত ঘুম নেই। গোটা দেশ থেকে আসছে করোনা নমুনা। আর রাউন্ড-দ্য়-ক্লক সেই নমুনা পরীক্ষা চলছে।
ন্যাশানাল ইনস্টিট্য়ুট অব ভাইরোলজি অব প্রথম সারির ভাইরার পরীক্ষার প্রতিষ্ঠান। করোনা নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই এখানে ব্য়স্ততা বেড়েছে। গতমাসে অন্তত চারহাজার নমুন পরীক্ষা হয়েছে এখানে। এই মাসেও নানা জায়গা থেকে আসছে নমুনা। শুধু তো নমুনা পরীক্ষা করাই নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও কাজ। ভাইরোলজির ওপর দেশের অন্য়তম সেরা প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, এই করোনার ভাইরাস পরীক্ষার নির্দেশিকাও দিতে হচ্ছে অন্য়ান্য় গবেষণাগারগুলোকে। আর সব মিলিয়ে নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না এখানকার বিজ্ঞানীরা।
প্রবীণ বিজ্ঞানী রামন আর গঙ্গাখেদলারের কথায়, "গত মাসে আমাদের প্রায় চারহাজার নমুনা পরীক্ষা করতে হয়েছিল। প্রতিদিন গড়ে ২৫টা করে নমুনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে এখন।" প্রসঙ্গত, ভারতে এখনও অবধি করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া তিরিশ ছাড়িয়েছে।
গতবছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে চিনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। তারপর ধীরে ধীরে আরও পঞ্চাশটির মতো দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ। চিনের উহানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে করে। সেই সময়ে বিমানবন্দরে চলতে থাকে স্বাস্থ্য়পরীক্ষা। চিনফেরতদের নিয়ে পৃথক করে রাখা হয় দিল্লির একটি স্বাস্থ্য় শিবিরে। এদিকে চিনে কাজ করা কেরালার শ্রমিকদের ওপর কড়া নজর রাখা হয়। যদিও সবরকম সতর্কতার পরও এদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যায় না। এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্য়া তিরিশ ছাড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, এমাসে এখনও অবধি, ৪,০৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিনহাজারের বেশি ব্য়ক্তির শরীর থেকে। গঙ্গাখেদলারের কথায়, এখন প্রতিদিন ১০টি নমুনার মধ্য়ে পাঁচটি আসে সকালে, তিনটি আসে বিকেলে আর দুটি আসে রাতের দিকে। তাই কার্যত দম ফেলার ফুরসত নেই এখানকার বিজ্ঞানীদের।