চিঠি লিখে লোকসভার স্পিকার বলেছেন, সাংসদদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও লোকসভা থেকে সাংসদদের বহিষ্কারের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
সংসদে অনুপ্রবেশের ঘটনার তিন দিন পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা লোকসভার সমস্ত সাংসদদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। বলেছেন, নিরাপত্তার লঙ্ঘনের ঘটনার সঙ্গে লোকসভার ১৩ জন সাংসদের বরখাস্তের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি সাংসদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর দুই ব্যক্তি চেম্বারের উপর দর্শকের গ্যালারি থেকে লোকসভার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল রঙিন বোমা নিয়ে। ধোঁয়ার ক্যানিস্টার ছুঁড়েছিল। ওই দিনই ছিল ২০০১ সালে সংসদ হামলার ২২তম বার্ষিকী। সেই দিনই ভারতীয় কয়েকজন তরুণ সংসদে ঢুকে পড়ায় অতঙ্ক তৈরি হয়েছিল।
এদিন চিঠি লিখে লোকসভার স্পিকার বলেছেন, সাংসদদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও লোকসভা থেকে সাংসদদের বহিষ্কারের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেছেন, 'এটি সত্যি দুর্ভাগ্যজনক, যে কিছু সদস্য ও রাজনৈতিক দল ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ এ ঘটে যাওয়ার ঘটনার পর কিছু সদস্যগে বরখাস্ত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বরখাস্ত করা হয়েছে সংসদের পবিত্রতা রক্ষা আর শান্তির জন্য।'
ওম বিড়লা আরও বলেছেন, যে ভাবে গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা যথেষ্ট অযৌক্তিক। দুটির মধ্যে যোগসূত্র খোঁজা ঠিক নয়। তবে তিনি চিঠি দিয়ে সাংসদের আস্বস্ত করেছেন। বলেছেন, সাংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে। বলেছেন, 'হাউসের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনার গভীর তদন্তের জন্য একটি উত্ত-পর্যায়ের তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে। এই কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই সংসদের দেওয়া হবে।'
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মামলায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। হামলার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাঁ ইতিমধ্যেই দেশে নৈরাজ্য তৈরি করতে চেয়েছে।