নতুন ইতিহাস লেখা হবেই। ইতিমধ্যেই তিনি ৩০০জন বীর ও ৩০টি ভারতীয় মহান সাম্রাজ্যকে চিহ্নিত করে গবেষণা আর ইতিহাস লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ঐতিহাসিকদের। বললেন অমিত শাহ। No one can stop us from rewriting history to free it from distortions amit Shah
নতুন ইতিহাস লেখা থেকে কেউ তাদের বিরত করতে পারবে না। রীতিমত হুমকির সুরেই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই ৩০টি মহান ভারতীয় সাম্রাজ্য ও ৩০০ জন বীর যোদ্ধা, যারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করে ছিলেন তাদের সম্পর্কে গবেষণা ও লেখার জন্য ঐতিহাসিকদের অনুরোধ করেছেন। সেই ইতিহাম বিকৃতিমুক্ত হবে বলেও দাবি করেছেন অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, বীর লাচিত বারফুকান না থাকলে উত্তর-পূর্ব ভারতের অংশ হত না। তিনি কিংবদন্তী অসম সেনাপতি ৪০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনর একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন। অসম সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন শুধুমাত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে ধর্মীয় কট্টরপন্থী ঔরঙ্গজেবের হাত থেকে রক্ষা করেছিবেন এই মহার বীর যোদ্ধা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, লাচিত বারফুকানের জীবন এ সময়ের ওপর সাহিত্য হিন্দু-সহ ১০টি ভাষায় অনুবান করতে বলেছিলেন। শিশুদের পাঠ্যের মত করেই এই অনুবাদ করা হবেএই বই শিশুদের অনুপ্রাণিত করবে বলেও অশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, 'আমরা প্রায়ই শুনতে পাই যে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু এবার সেই বিকৃত ইতিহাস সংশোধন করা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। একটি সঠিক ইতিহাস লেখাতে কেউ বাধা দিতে পারবে না '।
অমিত শাহ ঐতিহাসিক ও ভারতীয় ছাত্রদের দেশের ৩০টি মহান সাম্রাজ্য চিহ্নিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এমন সাম্রাজ্যকেই এই তালিকাভুক্ত করতে বলেছেন, যারা দেশের যে কোনও অংশে ১৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে রাজপাট চালিয়েছে। ৩০০জন বীর যোদ্ধাকেও চিহ্নিত করছেন। যারা দেশের ইতিহাস আর স্বাধীনতায় বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। অমিত শাহ আরও বলেন, 'যদি আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করি তাহলে ভারতের সত্যিকারের ইতিহাস লেখা হবে। মিথ্যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শেষ হয়ে যাবে।' অমিত শাহ আরও বলেন, 'যে জাতি তার গৌরবময় ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হয় না, যে জাতি বীরদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পায় না, সে কখনই নিজের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারে না।' মন্ত্রী বলেন, বারফুকান বিভিন্ন উপজাতিকে একত্রিত করে আমেরের রাম সিং-এর নেতৃত্বে শক্তিশালী সেনা বাহিনীর মোকাবিলায় বাঁপিয়ে পড়েছিলেনয়। ছোট অস্ত্র ও নৌকাই ছিল তাঁর সম্বল। স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে তিনি প্রতিকূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন। তাঁর আর রাম সিং-এর মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল সরাইঘাটে।
অমিত শাহ আরও বলেন, বারফুকান ও সেনা বাহিনীর লড়াই ছিল নিজেদের দেশেকরে রক্ষা করার জন্য। মুঘল সেনা বাহিনীর থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার ওপরেই তারা জোর দিয়েছিলেন। অমিত শাহ বলেন, বারফুকানের লড়াই, সার্বভূমত্ব, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে রক্ষা করেছিল। পাশাপাশি ধর্মান্ধ ঔরঙ্গজেবের কাছ থেকে সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এলাশিয়াকেও রক্ষা করেছিল।
আরও পড়ুনঃ
শীতের পথে কোনও কাঁটা নেই আগামী পাঁচ দিন , তাপমাত্রার পারদ একটু চড়লেও উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়বে